রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত ছিলই। সম্প্রতি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আমন্ত্রণ না পাওয়া নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবিলায় নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসা মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতা নিয়ে প্রশংসা করতে ভূললেন না রাজ্যপাল। রবিবার সকালে টুইট করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, "নৌসেনা, রাজ্য পুলিশ এবং উপকূলরক্ষী বাহিনী পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে। ক্ষতিগ্রস্থদের নিরাপদে আনতে সবরকম পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার।"
আরও পড়ুন: বুলবুল আতঙ্কে রাত জেগেছেন মমতা, তৈরি ছিলেন মন্টুরামও
বাংলায় এই বুলবুল পরবর্তী বিপর্যয় মোকাবিলা করতে রাজ্যের এনজিও সংস্থাগুলিকেও এগিয়ে আসার বার্তা দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। প্রসঙ্গত, শনিবার নবান্নের কন্ট্রোল রুম থেকে পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার রাতে টুইট করে সকলকে সতর্ক এবং নিরাপদ থাকার আশ্বাসও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এমনকি, মুখ্যমন্ত্রীর মতোই বিনিদ্র রাত জাগেন তাঁরই দলের কর্মী তথা কাকদ্বীপের বিধায়ক এবং সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরামের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী নিজেই কন্ট্রোল রুমে থাকবেন এবং আমাদের সঙ্গে যোগাযোগও রাখছেন। আমাদের মূল লক্ষ্য হল যেন একটা প্রাণহানিও যেন না হয়। যেকোনও উপায়ে সবাইকে বাঁচাতে হবে।”
আরও পড়ুন: মোদী-মমতা কথা, বুলবুলে পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বাংলায় ৭,৮১৫ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ৮৭০ গাছ উপড়ে গিয়েছে। ৯৫০ ফোন টাওয়ার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি আইসিডিএস সেন্টার। সাইক্লোন বুলবুলের কারণে বসিরহাটে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তবে, বর্তমানে বাংলাদেশের দিকে সরে গিয়েছে বুলবুল।