শুভেন্দুর পর বিজেপির নজরে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা! বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁর মন্তব্যের জেরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। বিষ্ণুপুরের সাংসদ বলেছিলেন, রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। এরপরই জল্পনা তৈরি দুই হেভিওয়েট নেতার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সেই দাবি উড়িয়ে দিলেন মন্ত্রী অরূপ রায়। স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, বিজেপির নীতির সঙ্গে তাঁর নীতি মেলে না। তাঁর আদর্শের সঙ্গে বিজেপির আদর্শ মেলে না। তাই বিজেপি যোগের কোনও সম্ভাবনাই নেই।
গত কয়েকদিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে জোর জল্পনা। রাজ্যের বনমন্ত্রী বেশ কয়েকদিন ধরে বেসুরো। দলীয় নেতৃত্বকে অস্বস্তি ফেলে দেওয়ার মতো বেশ কিছু মন্তব্যও করেছেন প্রকাশ্যে। এরপর দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও হয় তাঁর। বৈঠকের পর তিনি দলত্যাগের জল্পনা উড়িয়ে দেন। তবে দলের মধ্যে হাওড়ার আরেক হেভিওয়েট মন্ত্রী অরূপ রায়ের সঙ্গে তাঁর মতান্তর সর্বজনবিদিত। রাজীব বেসুরো হওয়ায় বেশ কয়েকবার নাম না করে কটাক্ষও করেন অরূপ রায়। কিন্তু তাঁর দলত্যাগ নিয়ে কোনও জল্পনা এতদিন ছিল না। বুধবার হাওড়ার ডোমজুড়ে একটি দলীয় সভায় যোগ দিয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো বিস্ফোরক দাবি করে বলেন, অরূপ রায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।
আরও পড়ুন সৌমেন্দুকে পুরসভা থেকে অপসারণ, বছর শুরুতেই জবাব বিজেপির
সৌমিত্র আরও দাবি করেন, শীঘ্রই দুজনের কেউ বিজেপিতে যোগ দেবেন। তাহলে কি জানুয়ারিতে অমিত শাহের সভাতেই হাওড়ার দুই হেভিওয়েট নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন? তা নিয়ে অবশ্য কোনও স্পষ্ট মন্তব্য করেননি সৌমিত্র। কিন্তু বিজেপি সাংসদের দাবি উড়িয়ে দিয়ে অরূপ রায় বলেন, “ওরা কোথা থেকে আলোচনা করল জানিনা। আমি ১৯৯৭ সালে তৃণমূল করতে শুরু করি। নিজের সন্তানের মতো করে হাওড়ায় তৈরি করেছি দলটাকে। আমি তো সৌমিত্র খাঁর মতো কংগ্রেস থেকে তৃণমূল, আবার তৃণমূল থেকে বিজেপি করিনি। যে দল করি সেটাই করি। আদর্শ, ভাবনা নিয়ে করি। দলে প্রয়োজন নেই বুঝলে সরে যাব। রাজনীতি করতেই হবে এরকম কোনও মানে নেই। কিন্তু এদল-ওদল করার মানসিকতা আমার কোনওদিন ছিল না। থাকবেও না। আদর্শ নিয়ে দল করি। ওরা কোন অধিকারে এসব আলোচনা করছে আমি জানি না।”
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন