সুপ্রিম কোর্টে অন্তর্বর্তী স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা পবন খেরা। তাঁকে গ্রেফতারির মামলায় উত্তরপ্রদেশ এবং অসম পুলিশকে নোটিস পাঠাল শীর্ষ আদালত। দুই রাজ্যের এফআইআরগুলোকে একসঙ্গে করার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে এক মন্তব্যের জেরে পবন খেরাকে দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশের রায়পুরগামী ইন্ডিগো বিমান থেকে জোর করে নামানো হয়। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করে অসম পুলিশ।
এর মধ্যেই দিল্লি বিমানবন্দর থেকে খেরাকে অসম পুলিশ গ্রেফতারের পরই সক্রিয় হয়ে ওঠে খেরা তথা কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ আইনজীবীদের একাংশ। তাঁরা বিষয়টি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ। এরপরই শীর্ষ আদালত, খেরাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়ার জন্য দিল্লির দ্বারকা আদালতকে নির্দেশ দেয়। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা ও বিচারপতি এমআর শাহ তাঁদের নির্দেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত খেরার অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। এরপর সন্ধ্যায় দিল্লির দ্বারকা আদালতে খেরাকে পেশ করা হয়।
বিচারপতি চন্দ্রচূড় কংগ্রেসের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে বলেন, 'আমরা আপনাকে রক্ষা করব। তবে, সেটা নির্দিষ্ট স্তর পর্যন্ত…।' আদালতে সিংভি জানান, খেরা তাঁর বক্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁর বলা কথাটা স্রেফ মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নরেন্দ্র গৌতমদাস মোদী বলে খেরা তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেছিলেন। এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি ওই মন্তব্য করেন। সেই সময় তিনি আদানি ইস্যুতে যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি জানাচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন- বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধা মা ও দুই মেয়ের মৃতদেহ, জানুন নেপথ্যের কাহিনী
গৌতম আদানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সম্পর্ক নিয়ে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টের ভিত্তিতে খেরা যৌথ সংসদীয় কমিটির দাবি জানিয়েছেন। এই ব্যাপারে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দিল্লি পুলিশের মুখপাত্র বলেন, 'পবন খেরাকে গ্রেফতারের জন্য অসম পুলিশ সাহায্য চেয়েছিল। তার ওপর ভিত্তি করে স্থানীয়ভাবে সাহায্য দেওয়া হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ১ নম্বর টার্মিনাল থেকে অসম পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিক খেরাকে গ্রেফতার করেন।'