লোকসভা ভোটের আগে বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করল সুপ্রিম কোর্ট। "পশ্চিমবঙ্গে অনেক ঘটনা ঘটছে," বলে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি এ কে সিক্রি। এ রাজ্যে রাজনৈতিক খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে শীর্ষ আদালতে পিটিশন জমা পড়েছে। সেই আবেদনের শুনানিতে এদিন বাংলার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
রাজ্যে তিনটি খুনের ঘটনায় তদন্তের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। এদিন শুনানিতে ভাটিয়া দাবি করেন, দুটি খুনের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেনি। একইসঙ্গে আদালতে গৌরব বলেন, বিজেপি কর্মী দুলাল কুমারের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত ‘ক্লোজ’ করে যুক্তি সাজানো হয়েছে যে উনি আত্মহত্যা করেছেন। বিজেপি নেতার আরও দাবি, অভিযুক্তরা সকলেই তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ।
আরও পড়ুন, “ভোটের আগে যুদ্ধের কথা মনে পড়ল?”
এ মামলার শুনানিতে এদিন বিচারপতি সিক্রি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে অনেক ঘটনা ঘটছে।’’ উল্লেখ্য, এ মামলায় রাজ্যের হয়ে সওয়াল করছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী কপিল সিব্বল। কপিল সিব্বলকেই এদিন একথা শোনান বিচারপতি সিক্রি। পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে সিব্বল বলেন, "সিবিআইয়েও অনেক কিছু ঘটছে।" উল্লেখ্য, চিট ফান্ড কেলঙ্কারির তদন্তে কলকাতার সদ্য প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে রাজ্য-সিবিআই সংঘাত চরমে পৌঁছোয়। রাজীব কুমারের বাড়িতে হানাও দেয় সিবিআই। যে ঘটনা ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
এ মামলায় বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া বলেন, দুলাল কুমারের মৃত্যুর ঘটনায় এফআইআর দায়ের করতে ১৮ দিন দেরি করা হয়েছে। যদিও কপিল সিব্বল সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। আদালতে তিনি জানান, দুটি মামলায় ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন, নদিয়ার তৃণমূল বিধায়ক খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত
ভাটিয়ার অভিযোগ, দুলালের ভাই অভিযোগপত্রে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তারা কেউই গ্রেফতার হন নি। ভাটিয়ার দাবি, প্রথমে ময়নাতদন্তও করা হয়নি। শেষমেশ "স্থানীয়দের" চাপে পড়ে তা করা হয়।
অন্যদিকে, আরেকটি মামলায় প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষের বিরুদ্ধে এখনই কোনও দমনমূলক পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
Read the full story in English