বিরোধীদের আন্দোলনে কাজ দিল। সোমবার অধিবেশন শুরুর পরও বিরোধীদের হট্টগোলে অধিবেশন দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সাংসদদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নিলেন স্পিকার ওম বিড়লা। সরকারের তরফে সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী সাসপেনশন তোলার প্রস্তাব দেন। তারপরই সাসপেনশন প্রত্যাহার করেন স্পিকার ওম বিড়লা। তবে, তার আগে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের আশ্বাস দিতে হয়েছে যে তাঁরা সংসদকক্ষে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রবেশ করবেন না। এরপরই মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে আলোচনার প্রস্তাব গৃহীত হয় লোকসভায়।
সোমবার রাজ্যসভায় গণবিধ্বংসী অস্ত্রে লগ্নি, গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরি, ও সরবরাহ আইন, ২০২২ ( বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন) পাস হয়। গত এপ্রিলেই বিলটি লোকসভায় পাস হয়েছিল। বিরোধীরা তখন তারস্বরে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, ইডির অপব্যবহার, অগ্নিপথ প্রকল্প-সহ অন্যান্য ইস্যুতে হইচই করছিলেন। তারমধ্যেই পাস হয়ে যায় বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন বিলটি। যারা এই বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত, তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, অর্থ বাজেয়াপ্ত করার ছাড়পত্র দেওয়া আছে এই আইনে।
আরও পড়ুন- কলকাতায় গ্রেফতার রাজীব কুমার, ১০ কোটি চেয়ে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ
এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী ও পীযূষ গোয়েল অভিযোগ করেন, যে বিরোধীরা ইচ্ছে করেই হইচই করছেন। তাঁরা ঠিকমতো সংসদ চালাতে দিচ্ছেন না। সাংবাদিকদের জোশী বলেন, 'আমাদের অনেক বিল পাশ করানোর আছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত সংসদ কক্ষ বারবার মুলতুবি হয়ে যাচ্ছে। যদি কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা আশ্বাস দেন যে কক্ষে প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা হবে না, তাহলে আমরা সাসপেনশন প্রত্যাহারে রাজি।' পীযূষ গোয়েল অভিযোগ করেন, ' মোট কথা, শাসক দল আলোচনায় রাজি। কিন্তু, বিরোধীরাই সংসদকক্ষ চালাতে দিচ্ছেন না। তাঁরা আলোচনার রাস্তা থেকে পালাচ্ছেন।'
তার মধ্যেই গ্যাসের দামবৃদ্ধি ইস্যুতে কেন্দ্রকে একহাত নেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি প্রশ্ন করেন, 'সরকার কি জনগণকে রান্না না-করা খাবার খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে?' জিএসটি ইস্যুতে সরকারকে একহাত নেন মণীশ তিওয়ারি। তিনি অভিযোগ করেন যে পেনসিল, শার্পনারের মত জিনিসেরও জিএসটি বেড়েছে। সরকার শিশুদেরও ছাড়ছে না-বলেই তাঁর অভিযোগ।
Read full story in English