অভিমান করেছেন শুভেন্দু অধিকারী? ‘অনেক খুঁজলাম, তোমায় দেখতে পেলাম না। মন আজ ভারাক্রান্ত’, পরিবহণমন্ত্রীর জন্য এমন আবেগের বন্যায় ভাসল সোশ্যাল মিডিয়া। সোমবার নেতাজি ইন্ডোরে তৃণমূলের সভায় গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের অন্যতম প্রথম সারির নেতা শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরে অধিকার বাড়ির সদস্যের অনুপস্থিতি নিয়ে তুমুল জল্পনা বঙ্গ রাজনীতিতে। শুভেন্দুকে না দেখতে পেয়ে নিজেদের ‘ইমোশনস’ এভাবেই ফেসবুকে ব্যক্ত করেছেন তাঁর অনুগামীরা। উল্লেখ্য, শুধু শুভেন্দুই নন, শিশির, সৌমেন্দু অধিকারীরাও গরহাজির ছিলেন নেতাজি ইন্ডোরে।
তৃণমূলের সভায় যেখানে সকলে হাজির, সেখানে শুভেন্দুর না থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি তৃণমূল নেতৃত্বের উপর কোনও কারণে অভিমানী শুভেন্দু? এমন জল্পনার আবহে ফেসবুকে তাঁর অনুগামীদের কেউ কেউ লিখেছেন, ‘‘ওঁদের ছাড়া (শুভেন্দু-শিশির অধিকারীকে বোঝানো হয়েছে) তৃণমূল অসম্পূর্ণ, এটা সকলের মনে রাখা খুব জরুরি’’।
আরও পড়ুন: বড় ঘোষণা: বাড়ি বানাতে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেবে মমতা সরকার
ফেসবুকে শুভেন্দুর নামে পোস্ট। ছবি: শাহজাহান আলি।
প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহল-সহ দুই মেদিনীপুরে দলের সংগঠন মজবুত করার কাজে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন শুভেন্দুই। গত বছরের শেষে খড়গপুর উপনির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যের নেপথ্যেও শুভেন্দুর ভূমিকা রয়েছে বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
আরও পড়ুন: মঞ্চে মমতা, দর্শকাসনে বসে ‘জল মাপলেন’ পিকে
ফেসবুকে শুভেন্দুর নামে পোস্ট। ছবি: শাহজাহান আলি।
এদিকে, সম্প্রতি হলদিয়ায় মা ও মেয়েকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ধৃত একজনের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বয়ং দিলীপ ঘোষ। ধৃত ‘শুভেন্দুর ডান হাত’ বলে তোপ দেগেছিলেন দিলীপ। অনেকের মতে, এ ঘটনায় আপাতত ‘আড়ালেই’ রয়েছেন শুভেন্দু। আরেক অংশের ব্যাখ্যা, তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের নীতি হয়তো মানছেন না শুভেন্দু। আর সে কারণেই তাঁর এই ‘দুরত্ব’।
তবে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের অনেকেই আবার অন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘‘রবিবার মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি থেকে সভা করে ফিরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর ফের তাঁকে মালদায় সভার জন্য যেতে হবে। তাই বিশ্রাম নিচ্ছেন। সে কারণেই সোমবার তৃণমূলের সভায় যাননি’’। তবে দলের নেতার এমন ‘অন্তরাল’ নিয়ে এহেন যুক্তি মানতে নারাজ তাঁর অনুগামীরা। তাঁদের কারও কারও ধারণা, ‘‘বোধহয় শুভেন্দুকে পেছনে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে’’। অনেকেই ফেসবুকে এও লিখেছেন, ‘‘দলের বিপর্যয়ে আবার দরকার হবে। উপেক্ষা-অবহেলা করতে চাইলে বড় ভুল হবে। তখন শোধরানোর উপায় নাও থাকতে পারে’’।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন