ঝালদার নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর বাড়িতে গেলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতার সঙ্গে ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো, বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়-সহ দলীয় নেতা-কর্মীরা। এদিন তপন কান্দুর স্ত্রী প্রতিমা কান্দুর সঙ্গে দেখা করে সবরকম সহযোগিতা এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন শুভেন্দু। শুভেন্দুর সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত কংগ্রেস নেতার স্ত্রী। শুভেন্দুরও চোখে জল আসে।
এদিন তপন কান্দুর বাড়িতে গিয়ে তাঁর ছবিতে মাল্যদানের মাধ্যমে শ্রদ্ধার্ঘ জ্ঞাপন করেন শুভেন্দু। এর পর তপনের বন্ধু প্রয়াত নিরঞ্জন বৈষ্ণবের বাড়িতেও যান শুভেন্দু। ঘটনাচক্রে দুজনেরই মৃত্যুর তদন্ত করছে সিবিআই। নিরঞ্জন বৈষ্ণবের ছবিতেও মাল্যদান করেন শুভেন্দু। এর পর সাংবাদিকদের বলেন, "বগটুই কাণ্ডের পরই আসব ভেবেছিলাম। তার পরেও আসার চেষ্টা করেও হয়নি। কারণ দুটি উপনির্বাচন ছিল। আবার বলা হত, রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এসেছি।"
শুভেন্দু এদিন বলেন, "সিবিআই তদন্ত খুনের প্রকৃত দোষী ধরা পড়ুক। এমনটা যেন না হয় শুধু সুপারি কিলার গ্রেফতার হল। বরং ওকে কে নির্দেশ দিয়েছে। কান টানলে মাথা আসবে। সেই মাথাকে সামনে আনা হোক। নাহলে তপন কান্দুর পরিবার বিচার পাবেন না। আইসি-কে জেরা করা হোক। উপর থেকে ওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হোক।"
আরও পড়ুন অসম কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন, তৃণমূলে যোগ দিলেন রিপুন বোরা
এদিকে, তপন কান্দু খুনের তদন্তে এবার ভিন রাজ্যে হানা দিল সিবিআই। পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডে তদন্তের জন্য গেল সিবিআইয়ের টিম। তপন কান্দুকে খুন করে কোন পথে পালিয়েছিল আততায়ীরা তা জানতে বাংলা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে হানা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের।