চা বলয়ে ধসের মুখে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। শুধু জেলা সভাপতিই নন, বিজেপি ত্যাগের পথে ওই জেলার একাধিক শীর্ষ নেতেও। গঙ্গাপ্রসাদ সহ সকলেই সোমবার এক ফুল ছেড়ে ঘাস-ফুলে নাম লেখাবেন। তাহলে কী দক্ষিণবঙ্গের মতো বিজেপির শক্ত ঘাঁটি উত্তবঙ্গেও বিজেপি ছাড়ার হিড়িক শুরু হল? এই আশঙ্কা অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ ছাড়াও বিনোদ মিঞ্জ, বীরেন্দ্র বরা, বিপ্লব সরকার সহ জেলার একাধিক হেভিওয়েট বিজেপি নেতৃত্ব। একুশের ভোটে আলিপুরদুয়ার জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে সবকটিতেই পদ্ম প্রার্থীরা জিতেছেন। জেলা সভাপতির সঙ্গে যুক্ত গঙ্গাপ্রসাদের নেতৃত্বেই আলিপুরদুয়ারে কর্তৃত্ব কায়েম করেছে বগেরুয়া বাহিনী। তাহলে হঠাৎ কেন দলত্যাগের ভাবনা? উত্তরে আলিপুরের বিজেপি সভাপতি জানিয়েছেন, বিজেপি এখন বহরে বেড়েছে। কিন্তু কাজের পরিবেশ নেই। দলের সাংসদই বাংলা ভাগ করে পৃথক রাজ্যের দাবি তুলছেন। তাই বিজেপি ছেড়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আপাতত কলকাতায় রয়েছেন গঙ্গাপ্রসাদ ও তাঁর অনুগামীরা।
আরও পড়ুন- ‘অখণ্ড বাংলার উন্নয়ন চায় বিজেপি’, বার্লার ‘বঙ্গভঙ্গ’র দাবি উড়িয়ে বললেন দিলীপ
ভোট পরবর্তী দলত্যাগ নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির। গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার দলত্যাগ নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'দল বিধানসবা ভোটে টিকিট না দেওয়া ওনার আগেই গোঁসা হয়েছিল। তারপর জল মাপছিলেন। এখন তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে দেখে ওই দলে যোগ দিচ্ছেন। বিমল গুরুংও পাহাড় থেকে তরাই-ডুয়ার্স সর্বত্র তৃণমূলের হয়ে প্রচার চালিয়েছিলেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গে বিজেপির জয় ঠেকাতে পারেননি। উত্তরবঙ্গে বিজেপির শক্তি প্রমাণিত। গঙ্গাপ্রসাদ তো গুরুংয়ের থেকে শক্তিশালী নন। এতে দলের কিছু যায় আসে না। আমরা আরও বড় গঙ্গাপ্রসাদ তৈরি করে নেব।'
ভোটে বিপর্যয়ের পর পরই দলবদলুরা 'বেসুরো' হয়েছেন। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েচেন মুকুল রায়। এবার দল ছাড়ার পথে প্রথম থেকে বিজেপি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত খোদ জেলা সভাপতি। দক্ষিণবঙ্গের বিজেপি ত্যাগের হিড়িক এবার উত্তরবঙ্গেও মাথাচাড় দিচ্ছে কিনা সেটাই এখন দেখার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন