মুকুল রায়ের বিধায়র পদ খারিজে মরিয়া শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার তরফে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে শুক্রবার আবেদন জমা করা হল। চিঠিতে অধ্যক্ষের কাছে দ্রুত পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন দুপুর ১২.১২ মিনিটে অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত সচিব বিরোধী দলনেতার কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের পদ খারিজ সংক্রান্ত আর্জিটি গ্রহণ করেছেন।
ভোটের ফলাফলে বাংলায় বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে। তারপরই গত শুক্রবারই বিজেপি ছেড়েছেন মুকুল রায়। যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। যদিও বিজেপির টিকিটে বিধানসভায় জয়ী মুকুল রায় এখনও তাঁর বিধায়ক পদ ছাড়েননি। তবে, দলত্যাগী আইনে এই তৃণমূল নেতার পদ খারিজের দাবিতে সরব শুভেন্দু সহ গেরুয়া শিবির। বিষয়টি তাঁর বর্তমান দল তৃণমূলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন স্বয়ং মুকুল।
আরও পড়ুন- হাজির হননি মামলাকারী মমতা, পিছিয়ে গেল নন্দীগ্রাম ভোট পুনর্গনণা মামলা
এ রাজ্যে কেন দলত্যাগ আইন লাগু হয়নি। মুকুলের দলত্যাগ ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না দেওয়া প্রসঙ্গে গত সপ্তাহেই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে বাংলায় দলত্যাগ আইন কার্যকরেরও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। এতেই থেমে না থেকে চলতি সপ্তাহের সোমবারই বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগের জন্য মুকুল রায়কে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। নির্ধারিত সময় কালের মধ্যে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা না দিলে বিধানসভার অধ্যযক্ষের কাছে আবেন, তাতেও কাজ না হলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন- মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ! তৃণমূলে যোগের পর প্রথম টুইট মুকুলের
যদিও তারপরেও বিধায়ক পদ থেকে সরে আসননি মুকুল রায়। তবে হাল ছাড়তে নারাজ শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁরই একদা সতীর্থ মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন নিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি বিধানসভাতেও গিয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, যে সময় বিরোধী দলনেতা বিধানসভায় গিয়েছিলেন সেই সময় অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না। সেকারণের তিনি নিজে অধ্যক্ষের হাতে চিঠি তুলে দিতে পারেননি। কিন্তু শুক্রবার মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন সংক্রান্ত চিঠি শুভেন্দুর তরফে অধ্যক্ষের কাছে জমা পড়ল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন