অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস বিধায়কদের দরাজ প্রশংসা করলেন তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। জেলায় সম্প্রীতি বজায় রাখতে ফারাক্কা ও সুতির কংগ্রেস বিধায়ক উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছেন বলে দাবি করলেন শুভেন্দু। এদিকে, কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা ঘিরে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে বহরমপুরের সাংসদের আঁতাতের অভিযোগ করেন জোড়াফুলের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ এই নেতা। জেলায় পুরভোট ও ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের কথা বিবেচনা করে বিরোধী কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলতেই মন্ত্রীর এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: ‘অভিষেকের জন্যই তৃণমূলের ৬০ বিধায়ক দল ছেড়ে বিজেপিতে আসছে’, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের
মুর্শিদাবাদের লালগোলায় সিএএ ও এনআরসি বিরোধীতায় সবা করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'সব বিরোধী দলের লোকেরা তো খারাপ নয়,আমি দেখেছি ফারাক্কার ও সুতির কংগ্রেস বিধায়কেরা হাতে হাত মিলিয়ে জেলায় সম্প্রতি বিপদের মুখে কাজ করেছেন।' একই সঙ্গে রাজ্যের হিংসার বাতাবরণ তৈরিতে অধীর চৌধুরী মদত দিচ্ছেন বলে জানান। তাঁর কথায়, ' উত্তেজনা বজায় রাখতে বহরমপুরের সাংসদ শুধু উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন।'
পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ছবি: পরাগ মজুমদার
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার পরিবারের উপর থেকে এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্র। যা নিয়ে তরজাও চলেছে। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, 'হেভিওয়েটদের নিরাপত্তা নেই। তাহলে অধীরের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকে কি করে?' এক্ষেত্রে তৃণমূল নেতা অধীর-বিজেপি গভীর আঁতাতের অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'মনে রাখবেন অধীর সিআরপিএফ এর সুরক্ষা পাচ্ছেন। বিজেপির বন্ধু না হলে সেই প্রতিরক্ষা পাওয়া অসম্ভব। এখন অধীরের মত নেতারা ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন। এটা কোন ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না।'
আরও পড়ুন: বিক্ষোভে বাড়ছে চাপ, সিএএ নিয়ে দেশজুড়ে প্রচারে জোর বিজেপির
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলায় মন্ত্রীর আশ্বাস, 'রাজ্যে যতদিন মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ততদিন এনআরসি বা সিএএ নিয়ে ভয় পাওয়ার দরকরা নেই। রাজ্য এইসব লাগু করবে না। বাংলায় বসবাসকারীদের কোথাউ চলে যেতে হবে না।' দেশের সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন বজায় রাখে শান্তি পক্রিয়া গড়ে তুলতে আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।