'বেসুরো' রাজীব শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন। যারপরনাই যেন ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে দেওয়ার তৃপ্তি বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর চোখে-মুখে। বললেন, 'দেখ তৃণমূল কেমন লাগে'।
গত এক মাসে মমতা মন্ত্রিসভার তিন মন্ত্রী পদ ছেড়েছেন। শুভেন্দু দলে কাজের সুযোগ নেই বলে নেতৃত্বের প্রতি ক্ষোভ ফউগরে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি বঙ্গ বিজেপির অন্যতম মুখ। মন্ত্রিত্ব-দল ছাড়ার কারণ হিসাবে ক্রিকেটে আরও বেশি মনোনিবেশের কথা বলেছেন লক্ষ্মীরত শুক্লা। তাঁর বিজেপি যোগের জল্পনা রয়েছে। এবার মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। খোদ নেত্রীর বিরুদ্ধে 'অসৌজন্যে'র অভিযোগ করেছেন তিনি। একে একে মন্ত্রিরা দল ছাড়ছেন। বিক্ষুব্ধ একাধিক বিধায়ক। আর এতেই তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ অচলাবস্থার ছবি আরও প্রকট হয়ে গেল বলে মনে করছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ পদ্ম বাহিনীর বেশিরভাগ নেতা।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যেয়র মন্ত্রিত্ব ত্যাগ প্রসঙ্গে এদিন দিঘাতে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'আমার ভাল লাগছে, দেখ তৃণমূল কেমন লাগে।'
গত বুধবার চন্দননগরের সভা থেকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু। বলেছিলেন, 'কর্মচারী হয়ে থাকতে হলে তৃণমূলে থাকুন, কাজ করতে হলে বিজেপিই একমাত্র জায়গা।' রাজীবের মন্ত্রিত্ব ছাড়র পর স্বাভাবিকভাবেই তার বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে গুঞ্জন জোরদার হয়েছে। কবে পদ্ম পতাকা হাতে নেবেন রাজীববাবু? জবাবে শুভেন্দু বলেন, 'সেই সিদ্ধান্ত রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নিতে হবে। তবে, ও এলে দলের ভাল হবে। ওর পরিবারের রাজনীতির ইতিহাস রয়েছে। ওকে ভোটাররা ভালবাসে।'
তৃণমূলের বহু বিধায়কই ভোটের আগে সুরে বাজচ্ছেন না। যা উল্লেখ করে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, 'সবে তো ট্রেলর। আর কয়েকটা দিন গেলেই দেখবেন কী হয়। আস্তে আস্তে কোম্পানিতে শুধু দু-জন থাকবেন। বাকিরা সবাই ওই দলটাই দল ছেড়ে দেবে।' 'দেখ কেমন লাগে' মন্তব্যের মাধ্যমে ফের একবার পুরনো দলের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন