Advertisment

আতশবাজির নিষেধাজ্ঞা অনুভূতিতে আঘাত, ভারতীয় বাজি দূষণমুক্ত, দাবি আরএসএস ঘনিষ্ঠ সংগঠনের

বাজিতে নিষেধাজ্ঞা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলেই অভিযোগ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
firecrackers

আরএসএস-ঘনিষ্ঠ স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ (এসজেএম) দিওয়ালির সময় আতশবাজির ওপর দিল্লি-সহ বিভিন্ন রাজ্য সরকার কর্তৃক ঘোষিত নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করল। এই নিষেধাজ্ঞা 'অবৈজ্ঞানিক' এবং 'অনুভূতিতে আঘাত করার' লক্ষ্যে জারি করা হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ করেছে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ। তাদের যুক্তি, এর আগে চিনা পটকাগুলোর জন্য দূষণ হচ্ছিল। সেই জন্য চিনের পটকা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু, ভারতীয় পটকাগুলো খুব বেশি দূষণ করে না।

Advertisment

স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক অশ্বিনী মহাজন এই প্রসঙ্গে বলেন, 'স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ দীপাবলির উৎসবের সময় দিল্লি এবং এনসিটি অঞ্চলে সরকারের আতশবাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করছে। এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয়। লক্ষ লক্ষ বাজিকর্মী ও অন্যান্যদের কর্মসংস্থানে আঘাত, অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা, দেশে পটকা উৎপাদন ও বিতরণে বাধা সৃষ্টি করা ছাড়া এই নিষেধাজ্ঞা আর কিছুই না।' আর, সেই কারণেই বাজি নিয়ে মিথ্যে প্রচার বন্ধ করাতে চায় স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ।

অশ্বিনী মহাজন বলেন, 'আমাদের জানা দরকার যে আতশবাজি দ্বারা সৃষ্ট দূষণ প্রাথমিকভাবে চিন থেকে অবৈধভাবে আমদানি করা আতশবাজি থেকে ছড়িয়েছে। ভারতের সবুজ পটকা থেকে ছড়ায়নি। এটি গুরুত্বপূর্ণ যে চিনা আতশবাজিতে পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং সালফারের মিশ্রণের কারণে দূষণ হয়েছে। যাইহোক, আজ ভারতে তৈরি সবুজ (দূষণমুক্ত) আতশবাজিগুলোতে পটাসিয়াম নাইট্রেট এবং সালফার মেশানো হয় না।'

আরও পড়ুন- তিন বছর পর ফের অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়, নতুন কিছু?

অশ্বিনী মহাজন বলেন, 'ভারতে তৈরি বাজিতে বিভিন্ন দূষণকারী পদার্থ যেমন অ্যালুমিনিয়াম, লিথিয়াম, আর্সেনিক এবং পারদের পরিমাণও সর্বনিম্ন করে দেওয়া হয়েছে। এই সবুজ আতশবাজিগুলো ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট, বৈজ্ঞানিক ও শিল্প গবেষণা কাউন্সিল দ্বারা দূষণমুক্ত বলে প্রমাণিত। এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে সবুজ পটকা আগের বাজিগুলোর চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দূষণ ঘটায়।' এই প্রসঙ্গে স্বদেশি জাগরণ মঞ্চের যুক্তি যে দিল্লি, হরিয়ানা এবং পঞ্জাব সরকার আবর্জনা পোড়ানো বন্ধ করতে ব্যর্থ হলেও, তারা আতশবাজি নিষিদ্ধ করার আদেশ নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তৎপর হয়েছে।

Read full story in English

Firecracker RSS Firecrackers Ban
Advertisment