'মা'-এর নেতৃত্ব অস্বীকার করে দল ছেড়ে 'ছেলের' আমলে কংগ্রেসে ফিরলেন তারিক আনোয়ার। রাজীব পরবর্তী সময়ে 'বিদেশিনী' সোনিয়া গান্ধীর হাতে কংগ্রেসের রাশ যাওয়ায় বিক্ষুব্ধ হয়ে ১৯৯৯ সালে শরদ পাওয়ার, পি.এ. সাংমার সঙ্গে দল ছেড়ে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) গঠন করেছিলেন বিহারের কাটিহারের সাংসদ তারিক আনোয়ার। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে 'সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখতে' সোনিয়া-পুত্রের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসেই ফিরে এলেন সেই আনোয়ার। শনিবার কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি এবং তারপরই দলে পুনরায় যোগ দেন বিহারের এই নেতা।
এদিন যোগদানের পর আনোয়ারের সব দলত্যাগীদেরই কংগ্রেসে ফেরার আবেদন জানিয়েছেন। দুই দশক পর ফের কংগ্রেসে যোগদানের কারণ হিসাবে তারিক আনোয়ার বলেন, দেশ এই মুহূর্তে খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে। তাই সময়ের দাবি মেনে, সকলেরই উচিত শতাব্দীপ্রাচীন দলটিকে সমর্থন জানানো। তাঁর ভাষায়, "কংগ্রেসই একমাত্র বিকল্প"।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের বিরুদ্ধে রাজনাথের অভিনব ‘মি টু’ কটাক্ষ
ঘরের ছেলে আনোয়ারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অশোক গেহলট বলেন, "রাজনীতিতে অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি থেকে রাগারাগি হয়েই থাকে...যাঁরা অতীতে কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতি বিচার করে আমি তাঁদের সকলকে দলে ফেরার জন্য অনুরোধ করছি"। বহু নেতাই যে কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন, এদিন তেমনই ইঙ্গিত ছিল গেহলটের কথায়। তিনি আরও বলেন, "শর্ত সাপেক্ষে বা শর্তহীন ভাবে, যেভাবেই দলে ফিরতে চান, ফিরুন। আমি সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে, তারিক আনওয়ার শর্তহীনভেবেই দলে ফিরেছেন"।
এদিকে, বিহার কংগ্রেসের প্রধান তথা দলের সাধারণ সম্পাদক শক্তিসিন গহিল দাবি করেছেন, বিজেপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ-তে 'বিপর্যয় ঘটতে চলেছে', ফলে স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের দলে বহু রাজনীতিকই আসতে চলেছেন। উল্লেখ্য, এনডিএ-তে আরএলএসপি এবং এলজেপি-র অসন্তোষের কথা প্রায়শই শোনা যাচ্ছে। উপেন্দ্র কুশওয়াহা, রামবিলাশ পাশোয়ানরা যে কিছুতেই আসন রপা নিয়ে খুশি নন, সে খবর এখন রাজনীতির অলিন্দে কানপাতলেই শোনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন- ছোট দলগুলো একজোট না হলে, উনিশের পর কোনও ভোট হবে না: হার্দিক
কিন্তু, তারিক আনওয়ার কেন এনসিপি ছাড়লেন?
আনোয়ারের দাবি, রাফাল দুর্নীতিতে মোদী সরকারকে 'রক্ষা' করতে চেয়েছেন শরদ পাওয়ার। এরপরই দল এবং দলীয় টিকিটের সাংসদ পদ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। তবে দলীয়ভাবে এনসিপি আনোয়ারের আনা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
Read full story in English