বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাশা পূরণ হয়নি দলের। ফলপ্রকাশের পর বিধায়ক থেকে স্থানীয় নেতৃত্বের একটা বড় অংশ দল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে ভিড়েছেন। সাম্প্রতিক কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে মাত্র ৩টি আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে পদ্মশিবিরকে। ভোট শতাংশের হিসাবে গেরুয়া শিবিরকে ছাপিয়ে গিয়েছে বামেরা। এবার বিজেপির নতুন কমিটি গঠিত হওয়ার পর বাদ যাওয়া নেতৃত্ব দলের কর্মকাণ্ডে থাকবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
রাজ্য সহসভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বপ্রিয় রায়চৌধুরী, জয়প্রকাশ মজুমদার, রাজকমল পাঠক, সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুকে দলের নতুন কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়নি। সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আলি হোসেনকে সরিয়ে দলের মূল সংগঠনে স্থান দেয়নি দল। জয়প্রকাশ মজুমদার ছাড়া বাকিরা দীর্ঘ বছর থেকেই বিজেপিতে রয়েছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে দলের নানা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরে গিয়েছেন বাদ যাওয়া নেতৃত্বের বড় অংশ। যাঁদের দল কমিটি থেকে বাদ দিয়েছে এঁদের অনেককেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনেও টিকিট দেওয়া হয়নি। অভিজ্ঞ মহল মনে করছে, তখনই শুরু হয়েছিল এই বাতিল প্রক্রিয়া। এবার তা সম্পূর্ণ হল।
রাজ্যে এখন বিজেপি ছাড়ার হিড়িক চলছে। তার মধ্যে শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যাপক ছাঁটাইয়ের পর কী ঘটতে চলছে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই এরাজ্যে মন্দা শুরু হয়েছে বিজেপির। তৃণমূল-বিজেপির গোপন আঁতাত নিয়ে অনেক আগেই প্রশ্ন তুলেছিল বামফ্রন্ট। নেতৃত্ব ও নীচু তলার বিজেপি কর্মীদের একটা বড় অংশ তৃণমূলে যোগ দিয়েছে। শতাংশের হিসাবে বিরোধী ভোটও কমছে বিজেপির। এই অবস্থায় বাদ যাওয়া বিজেপি নেতৃত্ব কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন- ‘আমৃত্যুু দিদির বিশ্বাসের মর্যাদা রাখব’, অঙ্গীকার কলকাতার নতুন মেয়র ফিরহাদের
ঘনিষ্ঠ মহলে বাদ যাওয়া নেতৃত্বের একাংশ জানিয়েছেন, কয়েকটা দিন তাঁরা অপেক্ষা করতে চাইছেন। তারপর তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন। কারও কারও সঙ্গে তৃণমূলের যোগাযোগ নিয়েও জল্পনা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে প্রাক্তন এক পদাধিকারী বলেন, 'দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নিশ্চয় বিকল্প কিছু ভাবছে। এখনই তৃণমূল যোগ দেওয়া বা অন্য কিছু ভাবছি না।' তবে বিজেপির একাংশের বক্তব্য, দলীয় নেতৃত্বে পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু নতুন কমিটি নিয়েও অসন্তোষ যে নেই তা কিন্তু নয়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন