আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে নীতীশ কুমার অন্যতম দাবিদার। এই জল্পনা আগেই ভাসিয়ে দিয়েছিল সংযুক্ত জনতা দল (জেডিইউ)। এবার একই কথা শোনা গেল বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের মুখ থেকেও। সম্প্রতি বিহারে তেজস্বী যাদবের আরজেডির সঙ্গে জোট গড়ে ফের মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন নীতীশ। আর, তারপরই নীতীশের মহগটবন্ধনের শরিক দল আরজেডির নেতা তেজস্বীর মুখ থেকে নীতীশের সম্পর্কে মন্তব্য করতে শোনা গেল। যেখানে তেজস্বী জানিয়েছেন, নীতীশ কুমার ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য এক শক্তিশালী প্রার্থী।
যদিও নীতীশ আগেই তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদে দাবিদার হওয়ার জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন। আর, তারপর থেকে তাঁর দল জেডিইউয়ের নেতাদেরও আর নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী করার কথা শোনা যাচ্ছে না। তার মধ্যেই ফের তেজস্বী যাদব নীতীশকে প্রধানমন্ত্রী পদে শক্তিশালী প্রার্থী বলায় নতুন করে জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিহারের বিরোধী দল বিজেপির অবশ্য অভিযোগ, 'চাচা' নীতীশকে দিল্লিতে পাঠিয়ে আসলে বিহারের কুর্সি দখলের স্বপ্ন দেখছেন তেজস্বী। তাই তিনি নীতীশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রসঙ্গ টেনেছেন।
আরও পড়ুন- ‘পুরাতনই ভিত্তি, নতুনই ভবিষ্যৎ’, কলকাতায় মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া নয়া ফ্লেক্স
তবে, বিরোধীদের কটাক্ষকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে রাজি হননি তেজস্বী। তিনি বলেছেন, 'আমি পুরো বিরোধী দলের পক্ষে কথা বলার দাবি করতে পারি না। তবে, যদি বিবেচনা করা হয়, শ্রদ্ধেয় নীতীশজি অবশ্যই প্রধানমন্ত্রী পদে একজন শক্তিশালী প্রার্থী হতে পারেন। তাঁর (নীতীশ কুমার) ৩৭ বছরেরও বেশি সংসদীয় এবং প্রশাসনিক কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি মাটির কাছাকাছিও থাকেন। পাশাপাশি, তাঁর সমর্থকরাও চান নীতীশ প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুন।'
এর আগে তাঁর প্রধানমন্ত্রী পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী পদে বিরোধীদের প্রার্থী হওয়ার কোনও আকাঙ্ক্ষা তাঁর নেই। এই প্রসঙ্গে নীতীশ কুমার বলেন, 'আমি হাতজোড় করে বলছি, আমার এধরনের কোনও চিন্তা নেই। আমি সবার জন্য কাজ করতে চাই। আমি চেষ্টা করব যেন সব বিরোধী দল একসঙ্গে কাজ করে। যদি তারা করে, তবে সেটাই ভালো হবে।' যদিও আরজেডির একাংশের দাবি, এটা স্রেফ বলতে হয় বলেই বলা। নীতীশ কুমারের মনের কথা নয়। বহুদিন ধরেই তিনি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
Read full story in English