/indian-express-bangla/media/media_files/Lxq4E3sQkjF1voaoPwon.jpg)
সামনেই জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন তার আগে আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্বাচনী প্রচারে কার্যত ঝড় তুললেন।
Modi: সামনেই জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচন তার আগে আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রী মোদী নির্বাচনী প্রচারে কার্যত ঝড় তুললেন। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উঠে এল সন্ত্রাসবাদ থেকে ৩৭০ ধারা বাতিলের মত একাধিক বিষয়। সেই সঙ্গে কংগ্রেস ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি কে কড়া আক্রমণ শানিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছেন, "কংগ্রেস, ন্যাশনাল কনফারেন্স এবং পিডিপি জম্মু ও কাশ্মীরকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। এই তিনটি দল মিলে যেভাবে উপত্যকার মানুষের প্রতি অবিচার করেছে তা পাপের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। আপনি এবং আমি মিলে একটি নিরাপদ কাশ্মীর গড়ে তুলব, এটাই মোদির গ্যারান্টি"।
মুখ্যমন্ত্রীর ধরনাস্থলে আসায় এবার কী গলবে বরফ? চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা
১৮ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার আগে এটি ছিল প্রধানমন্ত্রীর প্রথম নির্বাচনী সমাবেশ। মোদী শনিবার সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে বলেন, "জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ তার 'শেষ নিঃশ্বাস' নিচ্ছে। বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে জম্মু অঞ্চলের ডোডা জেলায় একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা এবং আপনারা একসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরকে দেশের একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ অংশে পরিণত করব।" তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পরে, জম্মু ও কাশ্মীর বিদেশী শক্তির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছিল এবং রাজবংশীয় রাজনীতি এই সুন্দর অঞ্চলটিকে ভিতরে থেকে ফাঁপা করে দিয়েছে"।
প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে বলেন, "আমরা ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই জম্মু-কাশ্মীরের উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেছি"। তিনি আরও বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ আজ শেষের পথে। বিজেপি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের পক্ষে আওয়াজ তুলেছে এবং তাদের সমর্থন করেছে। তিনি আরও বলেন, গত ১০ বছরে জম্মু ও কাশ্মীরে যে পরিবর্তন এসেছে তা অনেকটা স্বপ্নের মত। যে পাথরগুলো আগে পুলিশ ও বাহিনীকে লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হত তা দিয়েই এখন নতুন জম্মু ও কাশ্মীর তৈরি হচ্ছে"।
'শেষ চেষ্টা করলাম', ডাক্তারদের দাবি মানছেন? ধরনাস্থলে গিয়ে কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?
মোদী বলেন, "১০ বছরের কঠোর পরিশ্রমের পরে, পরিস্থিতিও আজ সম্পূর্ণ বদলে গেছে। শুধু দেশ থেকে নয় সারা বিশ্বের চলচ্চিত্র নির্মাতারা যাতে উপত্যকায় শুটিং করতে আসেন সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ জন্য নতুন চলচ্চিত্র নীতিও করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর আবার চলচ্চিত্র ও বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করবে"।
পাশাপাশি তিনি জোর দিয়ে বলেন, জম্মু ও কাশ্মীরকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার কাজটি কেবল বিজেপি সরকারই করবে। কিন্তু এমন লোকদের থেকে সাবধান থাকতে হবে, যারা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আপনার অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। তারাই জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা ফিরিয়ে আনতে চায়।