Advertisment

Junior Doctors Protest: কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তারদের ৩০ জনের প্রতিনিধিদল, পাঁচ দফা দাবির পক্ষে জোরালো সওয়াল

Junior Doctors Protest: রাষ্ট্রপতির কাছে অচলাবস্থা কাটাতে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এরপর আজ শনিবার সকালে আচমকা স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

author-image
IE Bangla Web Desk
আপডেট করা হয়েছে
New Update
Junior Doctor, RG Kar Case, Protest March

আজ কালীঘাটে সন্ধ্যায় বৈঠক


Junior Doctors Protest: সকালে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চে গিয়ে আলোচনার বার্তা দিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। বিকেলেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব মেনে আলোচনার জন্য ইমেল পাঠানো হয় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে। সেই বার্তা পেয়ে আলোচনায় তৎপর হয় রাজ্য। মুখ্যসচিবের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের মেল করে জানানো হয় সন্ধ্যা ৬টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে হবে বৈঠক। সেই মত জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে ৩০ জনের একটি প্রতিনিধিদল প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হাজির হয় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। প্রবেশের আগে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়, যে পাঁচ দফা দাবির কথা তাঁরা বারেবারে জানিয়ে এসেছেন মূলত সেই দাবিতেই এদিন হবে আলোচনা। 

Advertisment

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার কিছু সময় আগে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে প্রবেশ করেন জুনিয়র ডাক্তারদের ৩০ জনের প্রতিনিধিদল। সিকিউরিটি প্রটোকল মেনেই তাদের একে একে প্রবেশ করানো হয়। মূলত ৫ দফা দাবিতেই আজকের এই আলোচনা। রাজ্যের তরফে ১৫ জনের প্রতিনিধি দলের কথা বলা হলেও বৈঠকে অংশ নিতে কালীঘাটে পৌঁছেছেন ৩০ জনের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে অংশ নিতে কালীঘাটে পৌঁছেছেন মুখ্যসচিব, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকরা। 

জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেলে সাড়া রাজ্যের। বৈঠকে রাজি রাজ্য। আজ সন্ধ্যাতেই বৈঠকের ডাক। তবে নবান্ন নয়, আজকে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে। ইমেলের মাধ্যমে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের ১৫ জনের প্রতিনিধি দল হাজির থাকতে পারবেন। এরপর জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বসেছে জিবি বৈঠক। যদিও ইমেলে লাইভ স্ট্রিমিয়ের কোন উল্লেখ করা হয়নি। যদিও সূত্রের,খবর ১৫ নয়, ৩০ জন প্রতিনিধিকে নিয়েই বৈঠকে যোগদানের কথা জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এখন দেখার টানটান উত্তেজনার মধ্যে আজকের এই বৈঠক হয় কিনা।

জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর দুরন্ত উদ্যোগ, প্রশংসায় ভরালেন অভিনেতা দেব

মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নাস্থলের আসার পরই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আলোচনার জন্য ই-মেল করা হয় নবান্নে। সেই ইমেলে জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে জানানো হয়েছে, "আজ ৩৪ দিন অতিবাহিত। ৯ তারিখের ঘটনার পর থেকে শুরু হয় আমাদের আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চে এসে বার্তা দিয়েছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তার ভিত্তিতে আমরা সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই।  মুখ্যমন্ত্রীর আজকের পদক্ষেপ ইতিবাচক।  যে কোন সময়, যে কোন মুহূর্তে, আজকে এক্ষুনি আমরা আলোচনায় বসতে চাই। ৫ দফা দাবি ও স্বচ্ছতার দাবি রেখেই আমরা আলোচনার মাধ্যমে অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে চাই। ইতিমধ্যে নবান্নে ইমেল করা হয়েছে। আলোচনার জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। স্বচ্ছতার প্রশ্ন যেমন ছিল থাকছে। যে মুহূর্তে ডেট, প্লেস, টাইম জানিয়ে দেবে সরকার সেই মুহূর্তে আলোচনা। আলোচনা করতে হলে খোলা মনে আলোচনা হওয়া উচিত। আমরা ইমেলের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি"।

সূর্যে ফের বড় বিস্ফোরণ! পৃথিবীর দিকে এগোচ্ছে ভয়ঙ্কর সৌর ঝড়, বিরাট অশনিসংকেত?

এরপরই রাজ্যের তরফে মুখ্যসচিব জুনিয়র ডাক্তারদের মেল সন্ধ্যায় বৈঠকের কথা জানিয়েছেন। তবে বলা হয়েছে আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন ১৫ জনের প্রতিনিধি দল। স্বচ্ছতার প্রশ্নে রাজ্যের তরফে কোন লাইভ স্ট্রিমিংয়ের উল্লেখ করা হয়নি। 

রাষ্ট্রপতির কাছে অচলাবস্থা কাটাতে চিঠি দিয়েছিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। এরপর আজ শনিবার সকালে আচমকা স্বাস্থ্য ভবনে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনাস্থলে হাজির হন  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র চিকিৎসকদের একটানা ধরনা আন্দোলন চলছে সল্টলেক স্বাস্থ্যভবনের সামনে। শনিবার সেই ধরনাস্থলেই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরনাস্থলে পৌঁছতেই ওঠে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান, ওঠে 'জাস্টিস ফর আরজি কর' স্লোগান। এদিন ফের একবার আন্দোলরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তাঁদের দাবিগুলি খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করারও আশ্বাস দিয়েছেন।

কী বার্তা জুনিয়র ডাক্তারদের? 

এদিকে মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থল ছেড়ে যাওয়ার পরই জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে বলা হয়, "আমাদের যে আন্দোলন চলছিল সেই আন্দোলন চলবে। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে যেকোন জায়গায় আলোচনায় বসতে চাই। আলোচনায় বসা নিয়ে আমাদের মধ্যে কোন দ্বিমত নেই। অতি দ্রুত আমরা আলোচনায় বসতে চাই। অতি দ্রুত কাজে ফিরতে চাই। অন্যায় দাবি আমরা করছি না। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি এক্ষুনি আমরা আলোচনায় বসতে চাই আমাদের পাঁচ দফা দাবি নিয়ে। পাঁচ দফা দাবি নিয়ে কোন সমঝোতায় আমরা যাব না। আমরা কোন সমঝোতা করব না। মুখ্যমন্ত্রী এসে আমাদের সঙ্গে আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। দাবি জানাচ্ছি স্বচ্ছ আলোচনার।আলোচনা করে উনি আমাদের দাবি মেনে নিন আমরা এটাই চাই। এখনই আমাদের ন্যায় বিচারের পাঁচটি দাবি মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিন। সমস্ত কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতি ভেঙে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রী নিয়েছেন তাতে আমরা খুশি"।

মহাকাশ থেকে ভোট দেবেন সুনিতা, সামনে এল চমকে দেওয়া তথ্য

আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন অব্যাহত। টানা তৃতীয় দি্নের চেষ্টাতেও রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব হয়নি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। এই আবহে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখে অচলাবস্থা কাটানোর আবেদন জানিয়েছেন তারা। পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে লেখা চার পাতার এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী মোদী, উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে জেপি নাড্ডাকে। 

৯ আগস্ট আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের পর থেকে নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছে জুনিয়র ডাক্তাররা। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে তাদের চার পাতার চিঠিতে জুনিয়র ডাক্তাররা "চিকিৎসকদের ন্যায়বিচারের আবেদন জানিয়েছেন"। উল্লেখ্য গত ৯ সেপ্টেম্বর, সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দেওয়ার আবেদন জানান। যদিও সুপ্রিম কোর্টের আহ্বানে সাড়া দেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। এর মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে ৫ দফা দাবি জানিয়েছেন তারা। রাষ্ট্রপতিকে লেখা চিঠিতে আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচারের দাবি সহ অন্যান্য কর্মরত চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় হস্তক্ষেপের দাবি জানানো হয়েছে।

ভাইরাল অডিও-কাণ্ডে গ্রেফতার CPIM যুবনেতা কলতান দাশগুপ্ত

চিকিৎসকরা চিঠিতে লিখেছেন, 'দেশের প্রধান হিসেবে আমরা বিষয়টি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। আমরা চাই আমাদের সহকর্মীরা যারা অপরাধের শিকার হয়েছে তাঁর ন্যায্য বিচার হোক। আপনার হস্তক্ষেপের পরেই পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে থাকা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরা ভয় ও আশঙ্কা ছাড়াই জনসাধারণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন।  পাশাপাশি লেখা হয়েছে আপনার হস্তক্ষেপ কঠিন সময়ে আমাদের জন্য 'আলোর রশ্মি' হিসেবে কাজ করবে। আমাদের অন্ধকার থেকে মুক্তির পথ দেখাবে'।

CM Mamata banerjee RGKar medical college & hospital
Advertisment