তৃণমূল কংগ্রেসের বেসুরো বিধায়করা হাজির থাকলেন না বিধানসভার অধিবেশনে। বুধবার বিধানসভায় আসেননি হাওড়ার তিন তৃণমূল বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, বৈশালী ডালমিয়া ও হুগলির প্রবীর ঘোষাল। তৃণমূলের এই চার বিধায়ক বিধানসভায় হাজির না হওয়ায় ফের জল্পনার সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এঁদের সঙ্গে দলের দূরত্ব যে বেড়েছে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই গরহাজিরাই বিশেষ বার্তা আরও জেরালো করল।
আরও পড়ুন, ফের রাজীবের সঙ্গে কাজ করতে চান শুভেন্দু
সম্প্রতি হাওড়ার ডোমজুড়ের বিধায়ক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বনমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ননি তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঝরে যাওয়া বটপাতার সঙ্গে রাজীবের তুলনা করেছেন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সরে যাওয়ার পরে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া৷ অনুন্নয়ন নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন, ‘কোথায় কোটি টাকার পিকে?’, সুব্রত-ভরসায় মমতাকে খোঁচা বৈশাখীর
এর আগে ক্রীড়া দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পথ থেকে সরে এসেছেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা। যদিপ বিধায়ক পদ তিনি ছাড়েননি। দলে সমস্ত পদ ছেড়ে দিয়েছেন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। তিনিও দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভের কথা প্রকাশ্যে বলেছেন। এঁরা কেউই এদিন বিধানসভার অধিবেশনে হাজির হননি। এরই মধ্যে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একদিন পরেই রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তখন সমস্ত বিষয় স্পষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন