scorecardresearch

যেন বজ্রপাত! মহিলা কোচ যৌন হয়রানির অভিযোগ করলেন, পদত্যাগ ক্রীড়ামন্ত্রীর

আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ২০০-রও বেশি ম্যাচে ১৫০-র বেশি গোল করেছেন। দেশের হয়ে শেষবার ২০১৬ সালে খেলেছেন।

Haryana Sports Minister Sandeep Singh
ভারতীয় হকি দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সন্দীপ সিং

ছিলেন ভারতীয় পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক। সেই তিনিই ২০১৯ সালে হরিয়ানার পেহোয়া থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে হরিয়ানার ক্রীড়ামন্ত্রী হন। রবিবার ৩৫ বছরের সন্দীপ সিং হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিয়েছেন। এক মহিলা কোচের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছে। বিধানসভায় তেমন একটা সরব হতে দেখা না-গেলেও গত কয়েকবছরে সন্দীপ সিংয়ের সঙ্গে বিজেপির নাড়ির সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছে।

তাঁর জনপ্রিয়তা, ক্রীড়াক্ষেত্রে সাফল্য নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে গিয়েছে। শিখ মুখ হিসেবে গেরুয়া রাজনীতিতে তাঁর উত্থানও ঘটিয়েছে। যার দৌলতে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের মনদীপ সিংকে তিনি ৫,০০০-এরও বেশি ভোটে পরাস্ত করেন। এরপর ক্রীড়ামন্ত্রীর জুতো পায়ে গলাতে তাঁর আর দেরি হয়নি। তবে, সন্দীপ সিং-কে বিধানসভায় নিজের বিভাগ ছাড়া অন্য বিষয়ে অংশ নিতে তেমন একটা দেখা যায়নি।

গুরুচরণ সিং সাইনি ও দলজিৎ কউর সাইনির ছেলে সন্দীপের জন্ম ১৯৮৭ সালে। বড়দা বিক্রমজিতের সঙ্গে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্র জেলার শাহাবাদ হকি অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষক বলদেব সিংয়ের কাছে হকি খেলা শিখতে যেতেন সন্দীপ। দ্রুত উত্থান ঘটে তাঁর। সুযোগ পান জাতীয় দলেও। ২০০৪ সালে সুলতান আজলান শাহ কাপে সিনিয়র দলের হয়ে খেলা সবচেয়ে কমবয়সি ভারতীয় ফুটবলারের তকমা জোটে। সেই বছরেই এথেন্সে অলিম্পিকে খেলা সর্বকনিষ্ঠ ভারতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তিনি রেকর্ড গড়েন।

এক বছর পরে, সন্দীপ সিং জুনিয়র বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ গোলদাতার সম্মান পান। আর, ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত সিনিয়রদের বিশ্বকাপ হকিতেও সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু, টুর্নামেন্টের কয়েক দিন আগে ২০০৬ সালের ২২ আগস্ট সতীর্থ রাজপাল সিং-এর সঙ্গে কালকা-শতাব্দী ট্রেনে সফরের সময় রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্সের জওয়ানের গুলি ছিটকে তাঁর মেরুদণ্ডে লাগে। কয়েকদিন চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআর-এ ভর্তি ছিলেন।

আরও পড়ুন- ছ’শো বছরের ইতিহাসে প্রথমবার পোপের পদ থেকে পদত্যাগ, কে এই ষোড়শ বেনেডিক্ট?

মেরুদণ্ডের আঘাতের জেরে শাহাবাদের বাসিন্দা তাঁর শরীরের ওজনের ৪০ শতাংশেরও বেশি হারান। এরপর দুই বছরেরও বেশি সময় জাতীয় দলে ফিরে আসার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন সন্দীপ। ২০০৮ সালে ফের সুলতান আজলান শাহ কাপে জাতীয় দলে ফেরেন। সেখানে সর্বোচ্চ ৯ গোল করেন। সেই বছরই জাতীয় হকি দলের অধিনায়ক হন। তাঁর অধিনায়কত্বে ২০০৯ সালে ভারত সুলতান আজলান শাহ হকি কাপে জয়ী হয়।

দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে সন্দীপ সিং ৬ গোল করেন। ২০০৮ সালে বেজিং অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ ভারতীয় দল সন্দীপ সিংয়ের অধিনায়কত্বে ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিক খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। যোগ্যতা অর্জন পর্বে ১৬টি গোল করেন সন্দীপ। তার মধ্যে পাঁচটি করেন ফ্রান্সের বিরুদ্ধে। আর, এই পাঁচটা গোলই করেছিলেন পেনাল্টি কর্নার থেকে। সতীর্থদের কাছে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন, ‘ফ্লিকার সিং’ নামে।

Read full story in English

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App.

Web Title: The rise and fall of the indian hockey icon sandeep singh