তৃণমূল ভবনে হিন্দিভাষী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আশ্বাস দিলেন প্রত্যেকের পাশে থাকার। হিন্দিভাষা প্রসঙ্গে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। প্রধানমন্ত্রীর বাংলা ও মুখ্যমন্ত্রীর হিন্দি উচ্চারণ নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। প্রায়শই মুখ্যমন্ত্রীর হিন্দি নিয়ে বিজেপি নেতারা কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সুযোগ পেলে প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা দেন তৃণমূল নেতারা।
এই আবহে এদিন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে মমতা বলেন, “ওরা আমাকে কী হিন্দি শেখাবে। আমি কান ধরে ওদের হিন্দি শেখাব। বাংলার মতোই হিন্দি ভাষা শেখার অধিকার আমার আছে।” মোদিকে কটাক্ষ করে বলেন, “উনি তো টেলিপ্রম্পটার দেখে বক্তব্য রাখেন। গুজরাটি ছাড়া কিছুই জানেন না। আমি হিন্দি পড়তেও পারি।” তিনি আক্রমণ করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনকে। তাঁর বাংলা সফর প্রসঙ্গে বলেন, “উনি এখন বাংলায় এসে মিটিং করছেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না। যান ঝাড়খণ্ডের কাজ করুন।”
আরও পড়ুন প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, বিধানসভায় পাশ কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব
বৃহস্পতিবার তৃণমূল নেত্রী বলেন, 'হিন্দু-মুসলিমের পর বিজেপি এখন বাঙালি-অবাঙালি ভেদাভেদ করছে।' আমার প্রশাসনে অনেক সচিব-পুলিশকর্তা অবাঙালি। ওরা ভালো কাজ করে তাই শীর্ষ পদ পেয়েছে। আমরা একটা পরিবার হয়ে কাজ করি।' তাহলে ভোটের সময় ভেদাভেদ কেন? প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রীর। 'আমাদের কেউ অপমানিত করলে আপনারা সেটার প্রতিবাদ করবেন।', অবাঙালিদের উদ্দেশে বার্তা মমতার।
এদিন ফের কৃষি আইনের বিরোধিতায় সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, 'কেন্দ্রে ২জন আছেন, ওদের মতো মন্ত্রী আমি দেখিনি। পরিকল্পনামাফিক কৃষকদের সমস্যার মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। এটা মানব না।' দাবি জানান প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের। বিধানসভার অশান্তি প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেন, “আজ বিধানসভায় অনেকেই বলছিলেন তাঁরা কৃষি আইনের পক্ষে। আমি এত চিৎকার করেছি, ওরা পালিয়ে গিয়েছে।”