প্রধানমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি মুখ্যমন্ত্রীর, বিধানসভায় পাশ কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব

রাজ্যের কৃষি আইন সংশোধনীর দাবি খারিজ হয়ে যায়। সংশোধনীর বিপক্ষে ১০১ ধ্বনি ভোট পড়ে। পক্ষে ২৭টি ধ্বনি ভোট পড়ে।

রাজ্যের কৃষি আইন সংশোধনীর দাবি খারিজ হয়ে যায়। সংশোধনীর বিপক্ষে ১০১ ধ্বনি ভোট পড়ে। পক্ষে ২৭টি ধ্বনি ভোট পড়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update

তুমুল হট্টগোলের মধ্যে রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘‘দেশের কোথাও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।’’ রাজ্যের কৃষি আইন সংশোধনীর দাবি খারিজ হয়ে যায়। সংশোধনীর বিপক্ষে ১০১ ধ্বনি ভোট পড়ে। পক্ষে ২৭টি ধ্বনি ভোট পড়ে। বিরোধীদের দাবি খারিজ হয়ে যায়।

Advertisment

তবে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি আইন বিরোধী বক্তব্যের সময় তুমুল হট্টগোল করেন বিজেপি বিধায়করা। জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে তাঁরা ওয়েলে নেমে আসেন। তারপর বিধানসভা থেকে ওয়াক আুট করেন। তাঁদের বিরোধিতা সত্ত্বেও বিধানসভায় পাশ হয়ে যায় কৃষি আইন বিরোধী প্রস্তাব। এদিন বিধানসভায় প্রস্তাব পেশ করেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই প্রস্তাবকে ঘিরে বিধানসভা চত্বরে ধুন্ধুমার বাধে। প্রায় হাতাহাতি লেগে যায় বাম ও বিজেপি-র মধ্যে। পরে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে দিতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়কেরা।

আরও পড়ুন বিধানসভাতে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে ওয়াক আউট বিজেপি বিধায়কদের!

মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় কৃষি আইনের খারাপ দিকগুলি তুলে ধরেন। কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে বলেন, ”কৃষকদের উপর যে অত্যাচার হয়েছে, তার জন্য বিজেপি সরকার দায়ী । আমাদের মধ্যে আদর্শগত বিভেদ থাকতে পারে। কিন্তু কৃষকরা লালকেল্লা দখল করতে গিয়েছিলেন, তা আমি বিশ্বাস করি না। কৃষকরা খালিস্তানি নয়। কৃষি বিলগুলো জোর করে পাশ করানো হয়েছে। তিনটি আইনই প্রত্যাহার করতে হবে। কৃষকদের সব কর মকুব করতে হবে। হয় আইন প্রত্যাহার করো, নাহলে সরকার গদি ছাড়ো।”

Advertisment

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

PM Narendra Modi Mamata Banerjee farm-laws