২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে 'তিপ্রা মথা' অন্যদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রস্তুত। রাজ্য রাজনীতিতে নবাগত দলই এখন ত্রিপুরার অন্যতম রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে উঠে এসেছে। বাকি দলগুলোর চূড়ান্ত মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মথা। তবে বিধানসভা নির্বাচনে সর্বভারতীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাদের নির্বাচনী জোটের কোনও সম্ভাবনা নেই। আপাতত আগামী ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে একাই লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য লড়াই করা এই দল।
তিপ্রা মথার সভাপতি বিজয় রাংখাল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, 'বিধানসভায় একাই লড়ব। জাতীয় দলগুলির আদিবাসীদের নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই। তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও আলোচনা হবে না। হলেও নির্বাচনের পর হবে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি তবে রাজ্যের মোট ৬০টি আসনের মধ্যে ৩৫টিতে প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। রাজ্যের একটা উপনির্বাচনে তপসিলি প্রার্থী দেওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা করছি।'
অভিজ্ঞ মহলের মতে, 'তিপ্রা মথা' অন্য রাজনৈতিক দলগুলির ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ত্রিপুরার স্বশাসিত জেলা পরিষদ এখন তাদের দখলে। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও ভিলেজ কাউন্সিলের ভোট হয়নি। এ বিষয়ে রাজ্যপালের কাছেও দরবার করেছে 'তিপ্রা মথা'। গ্রাম কমিটি না হওয়ায় আদিবাসীদের উন্নয়ন থমকে রয়েছে বলে তাদের দাবি। বর্ষীয়াণ বিজয় রাংখাল বলেন, 'গ্রামাঞ্চলে হাহাকার চলছে। ভিলেজ কাউন্সিলের নির্বাচন হচ্ছে না। রাজ্যপালের মাধ্যমে বার বার চাপ দিচ্ছি। তারপরেও করছে না। যখন ইচ্ছা তখন নির্বাচন করবে তাহলে কী সংবিধানকে অবমাননা করা হচ্ছে না? শুধু রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর জন্যই সংবিধান নাকি? রাজ্যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে, ত্রিপুরায় পুরভোট হল।' এই ভোটের জন্য কি হাইকোর্টে যেতে হবে? আক্ষেপ এই প্রবীণ আদিবাসী নেতার।
এদিকে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলি। পুরভোটের মাধ্যমে পরশি রাজ্যে ঝাঁপিয়ে পড়লেও আপাতত ত্রিপুরা ইস্যুতে থমকে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ত্রিপুরা তৃণমূলের মাথাদের কেউ কেউ 'তিপ্রা মথা'র সঙ্গে যোগাযোগ করছে বলেও জানিয়েছেন বিজয় রাংখাল। তাঁর দাবি, সংখ্যালঘু, মনিপুরি, চা-বাগান কর্মী, এসসিদের একটা বড় অংশ তাঁদের দলে সামিল হচ্ছে। তাঁর কথায়, 'আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। আমাদের নিজস্বভূমিতে আমাদের ওপর বিভিন্ন আক্রমণ, অবিচার চলছেই। তাকে প্রতিহত করবে তিপ্রা মথা।'