/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/bengal-violence-759.jpg)
কেশপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতীকী ছবি।
আবারও সংবাদ শিরোনামে কেশপুর। বাম জমানায় অশান্তির ঘটনায় তেতে থাকত কেশপুর। লোকসভা ভোটের সময়ও কেশপুরে অশান্তির ছবি সামনে এসেছিল। ভোট মেটার পর সেই কেশপুরেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে প্রায় ৫০ জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সংঘর্ষে জড়িতরা তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থক বলে খবর। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর এলাকায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়, দিলীপ ঘোষদের সভা ছিল। সভাস্থলে যাওয়ার পথে কেশপুরে একটি বাসে কয়েকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই হামলা থেকেই সংঘর্ষের ঘটনা বাধে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। জখমদের উদ্ধার করে কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন: ব্যান্ডেলে তৃণমূল নেতাকে ‘গুলি করে খুন’
পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, এ ঘটনায় দু’পক্ষের ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে কেশপুর থানায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সমর্থকরা। শনিবার কেশপুরের সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পুলিশকে নিশানা করে বলেন, ‘‘আজও এখানে (কেশপুরের সভা) আসার পথে আমাদের ৪০-৫০ জন লোককে থানায় ঢুকিয়েছে, লাঠিপেটা করছে। পুলিশকে বলছি অভ্যাস পাল্টান, দিন কিন্তু পাল্টে গিয়েছে’’। দিলীপ আরও বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পুলিশের…সেদিন টিভিতে দেখলাম একজন পুলিশকে ধাক্কা মেরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল, কারণ গাড়ি দাঁড় করিয়ে তোলা তুলছিল পুলিশ। কেন পুলিশকে ভয় পাবে? পুলিশের দুরবস্থা হচ্ছে এখন। লোকের কাছে মার খেতে হচ্ছে। আমার মনে হয় এবার বাড়িতে বউয়ের কাছেও মার খাবে পুলিশ’’।
আরও পড়ুন:অশান্ত মঙ্গলকোট, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে গুলি-বোমাবাজি
এদিকে, গ্রাম দখলকে ঘিরে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় মঙ্গলকোটের ন’পাড়া ও সাকোনা গ্রাম। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, গ্রাম দখলকে ঘিরে ওই এলাকায় রাতভর বোমাবাজি-গুলি চলে। পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। দুষ্কৃতীদের রুখতে পাল্টা গুলি চালায় পুলিশ, দাবি এলাকাবাসীদের একাংশের। অন্যদিরে, শনিবার সাতসকালে ব্যান্ডেল স্টেশনে তৃণমূল নেতা দিলীপ রামকে গুলি করে খুনের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
Read the full story in English