বিজেপিতে যোগ দিলেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়। মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে পদ্মপতাকা হাতে তুলে নেন বীজপুরের তৃণমূলের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়। শুভ্রাংশুর পাশাপাশি এদিন আরও দুই বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন। বিজেপিতে যোগ দিলেন বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য ও হেমতাবাদের সিপিএম বিধায়ক দেবেন্দ্র রায়। অন্যদিকে, মমতা বাহিনীকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে একঝাঁক তৃণমূল কাউন্সিলর এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। কাঁচরাপাড়া, হালিশহর ও নৈহাটি পুরসভার দখল নিল বিজেপি।
Two TMC MLAs and one CPM MLA from West Bengal join BJP at party headquarters in Delhi. More than 50 Councillors also join BJP pic.twitter.com/9cJ0gTn9FC
— ANI (@ANI) May 28, 2019
সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় বলেন, ‘‘কাঁচরাপাড়া পুরসভার মোট আসন ২৪। পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান-সহ ১৭ জন বিজেপিতে যোগ দিলেন, ফলে এই পুরসভা এখন বিজেপির। হালিশহর পুরসভায় মোট আসন ২৩। ১৭ চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান-সহ ১৭ কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিলেন। হালিশহর পুরসভা তৃণমূলের নয়, বিজেপির। নৈহাটি পুরসভায় মোট আসন ৩১। ২৯ কাউন্সিলর বিজেপিতে যোগ দিলেন। নৈহাটি পুরসভা বিজেপির’’। এছাড়াও খানাকুলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিও বিজেপিতে যোগ দিলেন এদিন।
আরও পড়ুন: ভোটের পর সবথেকে বড় ধাক্কা মমতার? শুভ্রাংশু-সহ রাজ্যের তিন পুরসভা রাতারাতি বিজেপিতে!
তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মুকুল রায় আরও বলেন, ‘‘এরপর বিধায়কদের বিজেপিতে যোগদানের লাইন পড়ে যাবে’’। কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, ‘‘এটা শুধুমাত্র প্রথম পদক্ষেপ। বাংলায় যেমন ৭ দফায় ভোট হয়েছে, তেমন ৭ দফায় দলবদল হবে’’।
Kailash Vijayvargiya, BJP National General Secretary on 3 MLAs and more than 50 Councillors from WB joining BJP: Like the elections were held in seven phases in West Bengal, joinings in BJP will also happen in seven phases. Today was just the first phase. pic.twitter.com/YbYEYK2KwU
— ANI (@ANI) May 28, 2019
প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেসের ৪০ জন বিধায়ককে দলে টানার ইঙ্গিতপূর্ণ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এছাড়া দফায় দফায় তৃণমূল ভাঙানোর কথা বলেই চলেছেন মুকুল রায়-দিলীপ ঘোষরা। এবার সেই হুঁশিয়ারিই বাস্তবে করে দেখাল বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
উল্লেখ্য, শুভ্রাংশুর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা কয়েকদিন ধরেই চলছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। বহুবার তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন শুভ্রাংশু। লোকসভা নির্বাচনের মুখে এক নির্বাচনী সভায় শুভ্রাংশু দলেরই শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করেছিলেন। অন্যদিকে, মুকুল রায় বলেছিলেন, ‘‘শুভ্রাংশুর বিজেপিতে যোগদান স্রেফ সময়ের অপেক্ষা’’।
মুকুল-পুত্র বলেছিলেন, ‘‘আমার কাছে সব দলের দরজা খোলা রয়েছে। নতুন ইনিংস শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। হয় বসে যেতে পারি বা অন্য দলও হতে পারে’’। শুভ্রাংশু এও বলেন, ‘‘যদি তৃণমূল বর্জন করে, তবে কোনও না কোনও দলে তো যেতে হবেই’’। শুভ্রাংশু এও বলেছিলেন ‘‘একটা ওপিনিয়ন নেওয়ার দরকার। বাড়িতে বলতে হচ্ছে, দলে কৈফিয়ৎ দিতে হচ্ছে, বন্ধুবান্ধবরাও বলছে, কী করছি। সকলকে কৈফিয়ৎ দিতে হচ্ছে। দল কি আমায় বিশ্বাস করে? প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড়িয়ে আমি’’।