বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সোমবার সকাল থেকেই সরকার চালাচ্ছেন মেট্রো চ্যানেলের ধর্না মঞ্চ থেকে। কলকাতার নগরপালের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে রবিবার রাত থেকে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিন দিনে পড়ল মমতার ধর্না। আবার শহর কলকাতা যখন ধর্না নিয়ে সরগরম রাজধানী কলকাতা, একের পর এক বিজেপির সভা বাতিল হয়ে যাচ্ছে জেলায়।
মুর্শিদাবাদে বিজেপিকে সভা করার অনুমতি দিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা শাহনেওয়াজ হোসেন, তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে আইন বলে কিছুই নেই।
আরও পড়ুন, ঠিক যেন সিঙ্গুর’; মমতার ধর্না মঞ্চ দেখে জনতার প্রতিক্রিয়া
মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী শিবরাজ সিং চৌহানকেও সভা করার অনুমতি দেয়নি পশ্চিমবঙ্গে। এই প্রসঙ্গে শ্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বললেন, "কালেক্টর কারণ ব্যাখ্যা করেন না, ফোন করলে কথাও বলেন না। নির্লজ্জতার চরমে পৌঁছেছে রাজ্যের আচরণ। প্রজাতন্ত্রের পক্ষে এই ঘটনা খুবই নিন্দনীয়"।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের দিনেই রায়গঞ্জ এবং বালুরঘাটে ছিল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সভা। শেষ মুহূর্তে আদিত্যনাথের হেলিকপ্টার নামার প্রবেশানুমতি দেয়নি মমতা প্রশাসন। লখনউ থেকে ‘অডিও কনফারেন্সে’র মাধ্যমেই সভা করতে হয় আদিত্যনাথকে। টেলি বার্তায় রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের বক্তৃতার শুরুতে যোগী বলেন, “নির্ধারিত সময়েই আসতাম। কিন্তু তৃণমূল ভয় পেয়ে আমাকে আটকেছে। গণতন্ত্র বিরোধী মমতা সরকার অরাজকতাকে প্রশ্রয় দেয় এবং দেশের নিরাপত্তার বিষয়েও উদাসীন। কিন্তু আপনারা যেভাবে এই সরকারের বিরুদ্ধে লড়ছেন, আমি তাকে সমর্থন করি এবং পাশে আছি”।
প্রসঙ্গত, মমতার ধর্না মঞ্চকে বিঁধলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ফেসবুক পোস্টে মঙ্গলবার জেটলি লিখেছেন, শুধুমাত্র একজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে এই ধর্নায় বসেননি মমতা। বরং বিরোধী জোটের মধ্যমণি হয়ে থাকার উদ্দেশ্যেই তৃণমূলনেত্রীর এই ধর্না। অন্য বিরোধী নেতাদের ম্লান করে শুধুই নিজেই আলোকবৃত্তে থাকবেন বলে এমনটা করছেন মমতা।