এপ্রিলেই কলকাতা সহ রাজ্যের বেশ কয়েকটি পুরসভায় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে মোদী সরকারের নানা সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়াতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস। দলের বিভিন্ন শাখা সংগঠনের তরফে ইতিমধ্যেই আন্দোলনের রূপরেখা স্থির করা হয়েছে। দেশের অর্থনীতির হাল নিম্নমুখি। বাড়ছে বেকারত্ব। এই পরিস্থিতিতে 'অর্থনৈতিক মন্দা'কে ইস্যু করে নারী দিবসে পথে নামতে চলেছে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। ওই দিন হাঁড়ি হাতে মহানগরের পথে মিছিল করবে জোড়া-ফুল শিবিরের মহিলা কর্মী, সমর্থকরা। জানিয়েছেন রাজ্যের শাসক দলের মহিলা শাখার সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
উত্তর কলকাতার শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে মধ্য কলকাতার ডরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যের উন্নয়ন, কর্মসংস্থানে উদ্যোগী তখন বিজেপি তা ধ্বংস করতে মরিয়া। তারই প্রতিবাদে মহিলারা ফাঁকা হাড়ি হাতে মিছিল করবে।' চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কথায়, রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই এই কর্মসূচি পালিত হবে। তবে মূল কার্যক্রমটি হবে কলকাতায়।
গেরুয়া শিবিরকে বিঁধে চন্দ্রিমা বলেন, 'কেন্দ্র বলছে বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও। কিন্তু বাস্তবে দেশের মহিলাদেরকেই হত্যা করা হচ্ছে।' এক শীর্ষ তৃণমূল নেতার কথায়, 'মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিল থেকে নারী দিবসে সিএএ-এনআরসি-রও প্রতিবাদ করা হবে।'
আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার বিস্ফোরক অভিযোগ
২ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বাংলার বহু মানুষ এতে উপকৃত। তবুও লোকসভা ভোটে তার সুবিধা ঘরে তুলতে পারেনি তৃণমূল। তাই একদিকে মমতা সরকারের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক প্রকল্পকে তুলে ধরা যেমন এই মিছিলের উদ্দেশ্য, তেমনই মিছিল থেকে চরম বিরোধিতা করা হবে মোদী সরকারের অর্থনৈতিক নানা কর্মকাণ্ডের।
কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে সাম্প্রতিককালে পথে নেমে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলায় সিএএ-এনআরসি বিরোধী মিছিলে হেঁটেছেন তিনি। মহিলা তৃণমূলের হাঁড়ি হাতে মিছিলেও কি দল নেত্রীকে দেখা যাবে? জবাবে পরিষ্কার করে কিছু বলেননি মন্ত্রী।
রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা থেকে বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে রাজ্যপাল-নবান্ন সঙ্ঘাত চরমে। জামিয়া মিলিয়া গুলিকাণ্ড তুলে এদিনও রাজ্যপাল ধনকড়কে কটাক্ষ করেন মন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে গুলি চলছে। কেন এখন চুপ করে রয়েছেন রাজ্যপাল।' বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষেরও সমালোচনা করেন মন্ত্রী।
Read the full story in English