Advertisment

চরমে গোষ্ঠী কোন্দল, বর্ধমান শহরে উত্তেজনা, খুন তৃণমূল কর্মী

এই ঘটনায় দায়ী দলেরই বিধায়ক ও তাঁর অনুগামী নেতা, অভিযোগ পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলরের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
TMCP attacked in MBB college at tripura accused ABVP

প্রতীকী ছবি

বর্ধমান শহরে চরমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। বর্ধমান পুরসভার প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ দলীয় বিধায়ক ও শাসক দলের নেতার লোকেদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অশোক মাঝি নামে এক তৃণমূল কর্মীর। প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা শহরে।

Advertisment

বর্ধমান পুরসভায় নতুন প্রশাসক মণ্ডলীকে কেন্দ্র করে জোড়া-ফুলের অন্দরে বিবাদ আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। এরই মাঝে মঙ্গলবার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ সেলিমের অভিযোগ, পুরসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে খালাসি পাড়ায় তাঁকে কয়েকজন বহিরাগত রড, লাঠি দিয়ে আক্রমণ করেছে। কোনক্রমে তিনি বাঁচলও আক্রমণকারীরা তাঁর অনুগামীদের উপর চড়াও হয়। হামলাকারীরা স্থানীয় বিধায়ক খোকন দাস ও তৃণমূল নেতা শিবশংকর ঘোষের অনুগামী বলে দাবি মহম্মদ সেলিমের।

জখম তিন জনকে বর্ধমান মেডিতক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই মৃত্যু হয় অশোক মাঝির। তিনি প্রাক্তন কাউন্সিলর অনুগামী তৃণমূল কর্মী নামে পরিচিত ছিলেন।

আরও পড়ুন- পৃথক উত্তরবঙ্গ: এবার মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

আরও পড়ুন- শেষ পর্যন্ত কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাংক থেকে অপসারিত শুভেন্দু

যদিও বর্ধমানে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক শিবশংকর ঘোষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, "মহম্মদ সেলিম সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করছেন। এই ঘটনায় আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। কালনা ব্যবসায়ী সমিতির ডাকে এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। পুরসভায় এসেছি যাতে মানুষের জন্য কিছু ভ্যাকসিনেরব্যবস্থা করা যায়। এখন সব জানতে পারছি। যাঁর মিথ্যা বলাটাই পেশা তাঁর কোনও কথার উত্তর আমি দিতে পারব না। আর আমার কোনও অনুগামী নেই, আমি শুধু মমতা ব্যানার্জীর অনুগামী।"

এই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসেরও। তাঁকে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

পুর প্রশাসক মণ্ডলী গঠনের পরই বারে বারেই বর্ধমানে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। পুরসভায় বিক্ষোভ দেখান বিধায়ক খোকন দাস ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা, কর্মীরা। গত ১৭ই অগস্ট বর্ধমান পুরভায় মুখ্য প্রশাসক ও উপ মুখ্য প্রশাসক নির্বাচন করা হয়। উপ মুখ্য প্রশাসক পদে আইনুল হককে মানতে নারাজ তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক। যিনি দক্ষিণ বর্ধমানের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতাদের দাবি, বাম আমলে পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন তৃণমূল কর্মীদের উপর অত্যাচার করেছেন আইনুল হক। বর্তমানে তিনি তৃণমূলে। কিন্তু, পুরসভার প্রশাসন মণ্ডলীতে তাঁকে মেনে নেওয়া যাবে না। এরপর থেকেই গোষ্ঠী কোন্দল চরমে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার মৃত্যু পর্যন্ত হল এক তৃণমূল কর্মীর।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc burdwan
Advertisment