মুকুল রায়ের খাসতালুকেই এবার কেরামতি দেখাল তৃণমূল। মুকুলগড় কাঁচরাপাড়া পুরসভা পুনরুদ্ধার করে নয়া চাল চালল তৃণমূল। ৯ জুলাইয়ের পর এদিন আরও ৯ জন কাউন্সিলরকে ‘ঘর ওয়াপসি’ করাল মমতার দল। যার ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে কাঁচরাপাড়া পুরসভা তৃণমূল ‘পুনর্দখল’ করল বলে শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বলেন, ‘‘কাঁচরাপাড়া পুরসভায় মোট আসন ২৪। তৃণমূলের ২২ জন কাউন্সিলর ছিলেন। ৫ জন ছাড়া ১৭ জনই বিজেপিতে যোগদান করেছিল বলে ওরা দাবি করেছিল। সেই ১৭ জনের মধ্যে গত ৯ জুলাই ৫ জন তৃণমূলে ফেরেন। আজ আরও ৯ জন ফিরলেন তৃণমূলে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন নির্দল। অর্থাৎ, এখন কাঁচরাপাড়ায় তৃণমূলের হাতে ১৯ জন কাউন্সিলর। আমরাই বোর্ড দখল করলাম’’। হালিশহর পুরসভাও তৃণমূলের দখলে বলে দাবি করেছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: হালিশহরের পর কাঁচরাপাড়া, মুকুলকে ফের টেক্কা তৃণমূলের
এদিন সদ্য বিজেপিতে যাওয়া তৃণমূল কাউন্সিলরদের ঘরে ফেরা প্রসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘‘দিল্লিতে জোর করে কাঁচরাপাড়া, হালিশহরের বেশ কিছু জনপ্রতিনিধিদের তুলে নিয়ে গিয়ে, ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল। দাবি করা হয়েছিল পুরলভাগুলির দখল বিজেপি নিয়েছে। কিন্তু মাস শেষ হতে না হতেই দলবদল হল’’। এ প্রসঙ্গে নাম না করে মুকুল রায়কে কটাক্ষের সুরে অভিষেক বলেন, ‘‘আজ যাঁরা যোগ দিয়েছেন তাঁদের সকলেই সশরীরে উপস্থিত রয়েছেন। ২ জনকে সামনে রেখে দেখিয়ে বলল ১০ জন যোগ দিয়েছে এমনটা কিন্তু হয়নি। মিথ্যা কথা বলে কীভাবে দিল্লিতে গিয়ে নম্বর বাড়ানো যায় সেই চেষ্টাই করেছেন’’।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনে ফলপ্রকাশের পর থেকেই একের পর এক পুরসভা হাতছাড়া হতে থাকে তৃণমূলের। ভাটপাড়া, হালিশহর, গারুলিয়া এবং কাঁচরাপাড়া-সহ বিভিন্ন পুরসভায় ভাঙন ধরায় বিজেপি। ২৮ মে ২৪ আসনের কাঁচড়াপাড়া পুরসভার ১৭ জন তৃণমূল কাউন্সিলর পদ্ম শিবিরে যোগ দেওয়ার পর পুরবোর্ডের দখল এসেছে বলে দাবি করে গেরুয়া শিবির। এরপরই বিশেষ তৎপরতা নিয়ে ময়দানে নামে মমতা বাহিনী।