অনুব্রত মণ্ডলের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে এবার কৌশলী মন্তব্য খোদ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের। ''ওঁর শরীর অসুস্থ হলে চিকিৎসকরা বুঝবেন, তবে আমায় সিবিআই, ইডি ডাকলেই গিয়েছি"। অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই তলব ইস্যুতে এভাবেই নিজের মতামত জানালেন রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা।
গরু পাচার মামলায় সিবিআই স্ক্যানারে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এই মামলায় এর আগে অনুব্রতকে চারবার তলব করেছিল সিবিআই। কিন্তু প্রতিবারই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। পরে কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই তলবে আইনি রক্ষাকবচ চেয়ে দ্বারস্থ হন অনুব্রত মণ্ডল। তবে আদালত অনুব্রতর আবেদনে সাড়া দেয়নি। এরপরই তাঁকে ফের তলবের তোড়জোড় শুরু করে দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বুধবার পঞ্চমবারের জন্য তলব করা হলেও এবারও শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই সিবিআই হাজিরা এড়িয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। দলের এই নেতার হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, ''অনুব্রত মণ্ডলকে ওঁর আইনজীবীরা কী বলেছেন সেটা তাঁর ব্যাপার। এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারি না। ওঁর শরীর অসুস্থ থাকলে চিকিৎসকরা নিশ্চই দেখবেন। তবে আমি বলতে পারি, কোনওদিন অন্যায় করিনি। যখন যেখানে সিবিআই, ইডি ডেকেছে গিয়েছি। পাঁচ মিনিট আগেও উপস্থিত হতাম।''
এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব প্রসঙ্গে এদিন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও টানেন কুণাল ঘোষ। কয়লা-কাণ্ডে ইতিমধ্যেই একাধিকবার ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কুণাল ঘোষের দাবি, অপরাধ না করেও কেন্দ্রীয় সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথা উঁচু করে তিনি বেরিয়েও এসেছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কেন্দ্রীয় সংস্থার তলব ও পরে অনুব্রত মণ্ডলের হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নিয়ে কুণাল ঘোষের এদিনের মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতবাহী।