Martyrs Day Rally Kolkata: কাটমানির পাল্টা কালো টাকা ফেরানোর ডাক দিলেন মমতা । একুশের সভামঞ্চে মমতা বলেন, ‘‘নোটবন্দির পর ফিরিয়ে দাওয়া কালো টাকা, ব্লকে ব্লকে, অঞ্চলে অঞ্চলে কালো টাকা ফেরত দাও। চোরেদের সরকার, তারা আবার বলছে তৃণমূল কাটমানি ফেরত দাও। নির্বাচনে কত টাকা নিয়েছো?’’ এদিন মমতা বলেন, ‘‘মহৎ উদ্দেশ্যে আমি কাটমানি ফেরানোর কথা বলেছিলাম’’। বিজেপিকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘‘বিজেপিকে ভোট দিলে ভাটপাড়া হয়। আগে কখনও হয়নি এরকম’’। নাম না করে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘তৃণমূল একটা বার্ষিক সভা করছে ২৬ বছর ধরে। আপনাদের নেতা বলছেন বাস থেকে নামাবেন। আপনারা তৈরি থাকুন। আগামী দিনে মিটিং-মিছিল করবেন তো? এর পাল্টা যদি আমরা দিই, পারবেন তো রুখতে?’’ উল্লেখ্য, শনিবারই দিলীপ ঘোষ বলেনযে যেসব নেতারা শহিদ দিবসে কলকাতায় আসবেন তাঁদের রাস্তায় আটকে আগে কাটমানি চাইব। দিলীপের সেই বক্তব্যকে নিশানা করে এদিন পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা। Read the Live Blog in English
তারকাদের ইডি তলব নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মমতা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শতাব্দী, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণাকে ডেকেছে ইডি। ডেকেই বলছে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করো। না যোগাযোগ করলে তাপস পাল হতে হবে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হতে হবে। আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে’’। উল্লেখ্য, রোজভ্যালি মামলায় ইতিমধ্যেই প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অন্যদিকে, সারদাকাণ্ডে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
২১ জুলাই কী ঘটেছিল?
সালটা ১৯৯৩ সাল। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য ভোটার কার্ডের দাবিতে ২১ জুলাই মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই কর্মসূচি করার কথা ছিল ১৪ জুলাই। কিন্তু সে বছর ওই সময় প্রাক্তন রাজ্যপাল নুরুল হাসানের প্রয়াণের জন্য কর্মসূচি পিছিয়ে ২১ জুলাই করা হয়। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মমতার ডাকে মহাকরণ অভিযান কর্মসূচিতে কলকাতার রাজপথে রক্ত ঝরেছিল। পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৩ জন কংগ্রেস কর্মী, এমন অভিযোগই করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ ঘটনায় রীতিমতো উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতিবছর এদিন শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে তৃণমূল।
Live Blog
21st July Martyrs Day Updates: একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে মাইক হাতে দলের কর্মী-সমর্থকদের কী বার্তা দিলেন মমতা? এ সংক্রান্ত সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
বাসের ছাদে চেপেই কলকাতা রওনা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। ছবি: শশী ঘোষ।
তৃণমূলের একুশে জুলাই ঘিরে শুরু হয়ে গেল তৃণমূল বনাম বিজেপি বাগযুদ্ধ। তৃণমূলের শহিদ দিবসকে ‘সার্কাস’ বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে একেবারে টাটকা ইস্যু কাটমানি নিয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ। একুশে জুলাই জেলা থেকে যেসব তৃণমূল নেতারা কলকাতার দিকে রওনা দেবেন, তাঁদের রাস্তায় আটকে আগে কাটমানি নেওয়া হবে। দিলীপের এই হুঙ্কারের পরই আসরে নেমেছে তৃণমূল। শনিবার রাতে হেয়ার স্ট্রিট থানায় মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল তৃণমূল। শহিদ দিবসে কোনও গন্ডগোল হলে দায়ী থাকবেন দিলীপই, এ সুরেই পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের অন্যতম শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম। তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মেগা সমাবেশে ‘বিজেপি কলকাঠি করতে পারে’ বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বিস্তারিত পড়ুন
তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের বার্ষিক সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের রোডম্যাপ ঘোষণার মঞ্চ। কিন্তু তা এবার ভিন্ন হতে পারে। কারণ এবারের শহিদ দিবস অনুষ্ঠিত হচ্ছে লোকসভা ভোটের পর, যে ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির কাছে জমি হারিয়েছে অনেকটাই। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাশালী রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে আসছে এবং ক্ষমতাসীন দলের মূল চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠছে। ২১ জুলাই শহিদ দিবসের সমাবেশ মমতার কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা হয়েই থাকছে। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই সংগঠনের তরফ থেকে সিপিএমের “সায়েন্টিফিক রিগিং” আটকাতে ভোটার কার্ডকে একমাত্র ভোটের নথি হিসেবে মান্য করার জন্য আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। মমতা যখন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। সে দিন ১৩ জন যুব কংগ্রেস কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সে ঘটনার প্রতিবাদে প্রতিবছর এই দিনটিকে কলকাতার বুকে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করেন মমতা। বিস্তারিত পড়ুন
২১ জুলাই ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শহরের বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ভোর ৪টে থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত আমহার্স্ট স্ট্রিট, বিধান সরণি, কলেজ স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট, নিউ সিআইটি রোড, রবীন্দ্র সরণিতে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে খবর। সেদিন ভোর ৩টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরে ভারী যান চলাচলে নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
২১ জুলাই শহরের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নিয়েছে কলকাতা পুলিশ?
* লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে মোতায়েন থাকছে প্রায় ৫ হাজার পুলিশ কর্মী।
* নজরদারির জন্য থাকছে ওয়াচ টাওয়ার।
* শহরের এন্ট্রি পয়েন্ট ও আউট পয়েন্টে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ পিকেট, থাকছে হেল্প ডেস্ক।
* বিভিন্ন জোনে মোতায়েন থাকবেন ডিসি পদমর্যাদার অফিসাররা।
* পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুল্যান্স, ট্রমা কেয়ার ভেহিক্যাল, মেডিকেল টিম থাকছে।
* থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিম, ডিজাষ্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ।
* রাখা থাকছে দমকলের ইঞ্জিন।
* বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে নজরদারি চালানো হবে। নজরে রাখা হবে জলপথও।
* ভিড় মোকাবিলার জন্য থাকছে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যারিকেড।
* শনিবার রাত থেকেই নজরদারিতে জোর দেওয়া হবে।
* বেশ কিছু জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
* শহরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান, শপিং মলেও চালানো হবে নজরদারি।
একুশে জুলাই সকাল থেকেই মুখভার কলকাতার। সকাল থেকে দফায় দফায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি শহরে মাঝে মধ্যে রোদের দেখা মিললেও আকাশ স্বভাবতই মেঘলা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ দিনভর বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পর্যন্ত শহরে বৃষ্টি হয়েছে ০০০.৩ মিমি। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ধর্মতলামুখী তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
আজ ঐতিহাসিক #২১জুলাই #শহিদদিবস। ২৬ বছর আগে আজকের দিনেই ১৩জন যুব কর্মী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। সেই থেকে প্রতি বছর আমরা এই দিনটিকে #শহিদদিবস হিসেবে পালন করি। বাম জমানায় নিহত সকল শহিদদের আমার প্রণাম জানাই। ১/২
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 21, 2019
তৃণমূলের শহিদ দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে শহরকে মুড়ে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ। কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এদিন রাজপথে নামছে প্রায় ৫ হাজার পুলিশ। শহরের এন্ট্রি ও এগজিট পয়েন্টে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। প্রসঙ্গত, এবার ২১ জুলাই রবিবার হওয়ায় খানিকটা স্বস্তি। সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় রবিবার স্কুল-কলেজ, অফিস ছুটি থাকে, তাছাড়া শহরে গাড়ির সংখ্যা অনেকটাই কম থাকে। ফলে যানজট সমস্যা অনেকটাই ভালভাবে মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। যদিও ছুটির দিনে এহেন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাতে যানজটে অচল না হয় শহর, সেদিকে নজর রাখছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।
২৬ বছর আগে এই ২১ জুলাইয়েই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে ভোটার কার্ডের দাবি তুলে কলকাতার রাজপথে আন্দোলনে নেমেছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৬ বছর বাদে সেই ২১ জুলাইয়েও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে এবার ব্যালট পেপার ফেরানোর স্লোগান তুললেন আজকের তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির অভাবনীয় সাফল্যের নেপথ্যে ‘ইভিএম কারচুপি’কেই দায়ী করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর সেকারণেই এবার পঞ্চায়েত, পুরসভার ভোট ব্যালট পেপারে করার আহ্বান জানালেন তৃণমূলনেত্রী। রবিবাসরীয় একুশের মঞ্চে আগামী দিনের দলের রূপরেখা যেমন বাতলে দিলেন মমতা, তেমনই ‘প্রধান শত্রু’ বিজেপির তুলোধনা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুধু মমতাই নয়, দলের কর্মী-সমর্থকদের চাঙ্গা করতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বললেন, ‘‘একুশে আড়াইশোরও বেশি আসন পাবে তৃণমূল’’। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতাই, বিধানসভায় আড়াইশোরও বেশি আসন পাবে তৃণমূল’
লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোই এখন চ্যালেঞ্জ মমতা বাহিনীর। আর সেই লক্ষ্যে স্থির রেখেই একুশের মঞ্চে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে দলের উপর আস্থা রাখার বার্তা দিলেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায় শোনা গেল, ‘‘তৃণমূল যাওয়ার দল নয়, আসার দল’’। পাশাপাশি এই মুহূর্তে তৃণমূলের ‘সবচেয়ে বড় শত্রু’ বিজেপিকে রুখতে একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কাটমানির পাল্টা কালো টাকা ফেরানোর যেমন ডাক দিলেন তৃণমূলনেত্রী, তেমনই লোকসভা নির্বাচনে ইভিএমে কারচুপি করেই বিজেপি জিতেছে বলে ফের আওয়াজ তুলে মমতার স্লোগান, ‘‘ফিরিয়ে দাও ব্যালট পেপার’’। একইসঙ্গে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে কংগ্রেস-সিপিএমকে ফের লড়াইয়ে আহ্বান জানালেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সবিস্তারে এই প্রতিবেদনে একুশের মঞ্চে আক্রমণাত্মক মমতা, কী বললেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে তারকা মুখ নতুন নয়। এর আগেও একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা গিয়েছে টলি ও টেলিপাড়ার একাধিক পরিচিত মুখ। উনিশের একুশে জুলাইতেও সেই রীতির ব্যতিক্রম হল না। এদিন ধর্মতলা চত্বরে এসে পৌঁছেছেন নব্য নির্বাচিত সাংসদ নুসরত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী। দেখা মিলেছে অভিনেতা তথা সাংসদ দেবেরও। এছাড়া ‘নতুন মুখ’ হিসাবে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারকে। একদিকে যেমন ‘নিয়মিত মুখ’গুলিকে এদিনের শহিদ মঞ্চে দেখা যাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে চোখে পড়েছে অরূপ দত্তের টেলি ব্রিগেডকে। রনিতা দাস, সৌপ্তিক, সোহম চক্রবর্তী, মনামি ঘোষ, দোলন রায়, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়েরা-সহ একাধিক তারকাকে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছে। এছাড়া উপস্থিত রয়েছেন অভিনেতা-পরিচালক অরিন্দম শীল ও রাজ চক্রবর্তী। বিস্তারিত এই প্রতিবেদনে একুশের সমাবেশে হাজির টলি বিগ্রেড, কে কে গেলেন মমতার মঞ্চে?
একুশের সভামঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘২৯ জুলাই বড় কর্মসূচি ঘোষণা করব। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে সেই কর্মসূচি পালন করা হবে’’। ২৬, ২৭ তারিখ কালো টাকা ফেরানোর দাবিতে ব্লকে ব্লকে আন্দোলন করা হবে’’। এদিন মমতা বলেন, ‘‘তৃণমূল যাওয়ার দল নয়, আসার দল। যাঁরা বেইমানি করবেন, তাঁদের চিহ্নিত করুন। আবার জেলায় জেলায় যাব ২৬ তারিখের পর’’। মমতা আরও বলেন, ‘‘জনসংযোগ বাড়ান। রাস্তায় বেরোন। ঘরে বসে রাজনীতি হয় না’’।
টেলি অভিনেত্রী অঞ্জনা বসুর নাম নিয়ে মমতা এদিন বলেন, ‘‘অঞ্জনা কতবার যোগ করেছেন? একটা লোককে নিয়ে তিনবার যোগদান করাচ্ছেন। তোর যদি লোক না থাকে ধার চেয়ে নে। আমি দিয়ে দেব। ওঁর (অঞ্জনা) প্রতি ঘৃণা নেই। ২ জনও যাচ্ছে না, বাড়ির সামনে প্যান্ডেল করে ২ হাজার লোক গিয়েছে বলে প্রচার করছে। ক’দিন গেল, আবার উল্টোরথ হয়ে গেল। একজন বিধায়ককে বললাম, তুমি নাকি চলে গেছো? কত দিয়েছিল? বলল, দিতে চেয়েছিল, ২ কোটি টাকা , একটা পেট্রোল পাম্প। দরাদরি চলছে নাকি। এগুলো যারা বলবে, তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে’’। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে দিল্লিতে মুকুল রায়ের বাসভবনে জড়ো হয়েছিলেন একঝাঁক তৃণমূল কাউন্সিলর। রীতিমতো প্যান্ডেল করে মুকুলের বাড়ির সামনে মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেদিনই মুকুলের হাত ধরে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন। হালিশহর, কাঁচরাপাড়া-সহ বেশ কিছু পুরসভা তাঁদের দখলে বলে দাবি করে বিজেপি। এর কিছুদিনের মধ্যেই সেসব পুরসভা ‘পুনরুদ্ধার’ করে বলে পাল্টা দাবি করেছে শাসক শিবিপ।
একুশের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কংগ্রেস ও সিপিএমকে বলব, যে ডালে বসে আছো, সেই ডাল না কেটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করো। আমাদের সমর্থন কোরো না। চাই না তোমাদের সমর্থন’’।
ইভিএমে কারচুপির অভিযোগে সরব মমতা। একুশের মঞ্চে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘যা বলেছিল, সেই নম্বরই পেয়েছে লোকসভা ভোটে। কখনও ভেবেছেন একথা? আমরা কমিশনকে বলেছি পঞ্চায়েত ভোট, পুরভোট ব্যালটে হতে হবে। আমেরিকা, ইংল্যান্ডে কেন হয় না ইভিএমে ভোট? ইভিএম চাই না, ব্যালট ফেরানো হোক’’।
তারকাদের ইডি তলব নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মমতা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শতাব্দী, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণাকে ডেকেছে ইডি। ডেকেই বলছে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করো। না যোগাযোগ করলে তাপস পাল হতে হবে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হতে হবে। আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে’’। উল্লেখ্য, রোজভ্যালি মামলায় ইতিমধ্যেই প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অন্যদিকে, সারদাকাণ্ডে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কে তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
কাটমানির পাল্টা কালো টাকা ফেরানোর ডাক দিলেন মমতা । একুশের সভামঞ্চে মমতা বলেন, ‘‘নোটবন্দির পর ফিরিয়ে দাওয়া কালো টাকা, ব্লকে ব্লকে, অঞ্চলে অঞ্চলে কালো টাকা ফেরত দাও। চোরেদের সরকার, তারা আবার বলছে তৃণমূল কাটমানি ফেরত দাও। নির্বাচনে কত টাকা নিয়েছো?’’
নাম না করে দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ মমতার। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘‘তৃণমূল একটা বার্ষিক সভা করছে ২৬ বছর ধরে। আপনাদের নেতা বলছেন বাস থেকে নামাবেন। আপনারা তৈরি থাকুন। আগামী দিনে মিটিং-মিছিল করবেন তো? এর পাল্টা যদি আমরা দিই, পারবেন তো রুখতে?’’ উল্লেখ্য, শনিবারই দিলীপ ঘোষ বলেনযে যেসব নেতারা শহিদ দিবসে কলকাতায় আসবেন তাঁদের রাস্তায় আটকে আগে কাটমানি চাইব। দিলীপের সেই বক্তব্যকে নিশানা করে এদিন পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
বিজেপিকে একহাত নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘অনেক জায়গায় ট্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। বিজেপি ভাবছে, সরকারে আছে, ট্রেন ওদের অধীনে’’।
একুশের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘রেড রোডটাই মনে হচ্ছে ২-৩ লক্ষ লোক দাঁড়িয়ে রয়েছে। মনে হচ্ছে যেন আরেকটা ব্রিগেড হচ্ছে’’।
একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে একুশের টার্গেট বলে দিলেন মমতার ভাইপো। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে দুষে বলেন, ‘‘ ইভিএমে ভোট হলে অন্যরকম রেজাল্ট হয়, আর ব্যালটে হলে অন্যরকম ফল হয়। বুকের পাটা থাকলে একবার ব্যালট পেপারে ভোট করে দেখান, দুধ কা দুধ পানি কা পানি হয়ে যাবে। যারা ভাবে কটা মুষ্টিমেয় আসন পেয়ে বাংলাকে অশান্তির রাজ্যে পরিণত করবে, তাদের বলছি, মারবে যত গড়বে তত, ফুটবে তত ফুল, রক্ত দিয়ে লিখে যাব আমরা তৃণমূল। মা-মাটি-মানুষের আন্দোলন চলছে চলবে। একুশের ভোটে আড়াইশোর বেশি আসন পেয়ে ওদের বরবাদ করে তৃতীয় বার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা মানছেন কাটমানি নিয়ে তৃণমূল বিদ্ধ, কাল দিলীপ ঘোষও বলেছেন, সাত বার জন্ম নিলেও তৃণমূলের মতো একটা কর্মী আপনি আনতে পারবেন না আপনার দলে। সিপিএমের হার্মাদ আর বিজেপির জল্লাদদের বরবাদ করবই। আমাদের নেত্রী বাংলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন, তোমাদের নেতারা সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করতে শেখায়, তোমাদের রাজনীতি জাত নিয়ে’’।
ধর্মতলায় পৌঁছোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে দেখামাত্রই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন দলের কর্মী-সমর্থকরা।
কালীঘাটের বাড়ি থেকে ধর্মতলার দিকে রওনা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভা শুরু হয়েছে। তৃণমূলনেত্রীর ভাষণ শোনার অপেক্ষায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা।
একুশের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন ফিরহাদ বলেন, ‘‘বিজেপির শাসনে দেশে অচ্ছে দিন আসেনি। দেশকে বিক্রি করে দিচ্ছে বিজেপি। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের দালাল হয়ে গেছে’’।
‘‘একুশের সভার জন্য বিজেপির চক্রান্তে উত্তর ২৪ পরগনায় লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে’’, এমন অভিযোগই করলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। উল্লেখ্য, শনিবারই কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘গন্ডগোল দিলীপ ঘোষ করবেই। শুধু ট্রেন কেন বাসও আটকে দেব। এবার সরকারটাও বন্ধ করে দেব। যত ইচ্ছে এফআইআর করুন’’।
‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শোনার জন্য জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে’’, বললেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: জয়প্রকাশ দাস।
একুশে জুলাইয়ে এমন সাজেই ধর্মতলা মুখী এক তৃণমূল সমর্থক। ছবি: শশী ঘোষ।
একুশের জুলাইয়ের সমাবেশের সূচনা করলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। তিনি বলেন, ‘‘কোথাও টাকার বিনিময়ে ভোট কব্জা করা হয়েছে, কোথাও মেশিনে কারচুপি করা হয়েছে, তাই মেশিন নয় ব্যালট চাই, এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতেই আজকের দিনকে বেছে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’’।
কিছুক্ষণ বাদেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে পা রাখবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সভা মঞ্চের সামনে ভিড় জমিয়েছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তৃণমূলের শহিদ দিবস উপলক্ষে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুলিশের।
টুপিতে জায়গা করে নিয়েছে ঘাসফুল। শিয়ালদা স্টেশনের সামনে এমন অবতারেই দেখা মিলল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের। ছবি: শশী ঘোষ।