Martyrs Day Rally 2019: চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে টলি তারকাদের ইডি-র তলব নিয়ে একুশের মঞ্চে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিতে জোর করে যোগদান করানোর জন্যই তারকাদের তলব করা হচ্ছে বলে রবিবার একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এদিন মমতা বলেন, ‘‘শতাব্দী আমাকে বলছিল, জানো দিদি, আমাকে আবার ইডি ডেকেছে...শতাব্দীকে একা নয়, প্রসেনজিৎ-, ঋতুপর্ণাকেও ডেকেছে ইডি। আরও অনেককেই ডাকবে। ডেকেই বলছে, বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ কর। বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে গ্রেফতার করা হবে না। না যোগাযোগ করলে তাপস পাল হতে হবে, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় হতে হবে...আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে’’।
উল্লেখ্য, রোজভ্যালি মামলায় ইতিমধ্যেই প্রসেনজিৎ ও ঋতুপর্ণাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। অন্যদিকে, সারদাকাণ্ডে অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়কেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রোজভ্যালি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা তাপস পাল। চিটফান্ড মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
আরও পড়ুন: ‘ডিম-ভাত রান্না হলেও, খাওয়ার লোক নেই’, শ্লেষ দিলীপের
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ বলেন, ‘‘এটা খুবই চিন্তাজনক। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, যদি এমন কেউ বসে থাকেন, তার নাম বলুন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কতটা হতাশ হলে সিবিআইকে বদনাম করার চেষ্টা করতে পারে কেউ’’। প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিবিআই বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও তোপ দেগেছিলেন মমতা। গত ফেব্রুয়ারিতে কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে মমতার ধর্না কর্মসূচি আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে।
আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতাই, বিধানসভায় আড়াইশোরও বেশি আসন পাবে তৃণমূল’
অন্যদিকে, কাটমানির পাল্টা হিসেবে বিজেপির থেকে ‘ব্ল্যাকমানি’ ফেরতের ডাক দিয়েছেন মমতা। এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘কাটমানির পাল্টা কালো টাকা ফেরত দাও। নোটবন্দির পর ফিরিয়ে দাওয়া কালো টাকা, ব্লকে ব্লকে, অঞ্চলে অঞ্চলে কালো টাকা ফেরত দাও। চোরেদের সরকার, তারা আবার বলছে, তৃণমূল কাটমানি ফেরত দাও। নির্বাচনে কত টাকা নিয়েছ? গ্রামে গ্রামে গিয়ে বলবেন, উজ্জ্বলার কাটমানি ফেরত দাও’’। এই প্রেক্ষিতে দিলীপ বলেন, ‘‘কোনও বিধায়ককে নাকি টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা হচ্ছে। জানি না, কোন তৃণমূলে বিধায়কের দাম ২ কোটি! চ্যালেঞ্জ করে বলছি, সেই বিধায়ককে নিয়ে আসুন, কে এত দামী? মমতারও এত দাম নেই। মিথ্যা কথা বলে ইমেজ বানানোর চেষ্টা করবেন না’’।