অবশেষে জট কাটল। আগামিকাল বুধবারই বিধায়ক পদে শপথ নিচ্ছেন বাবুল সুপ্রিয়। বুধবার বিধানসভায় বেলা সাড়ে ১২টায় বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালের মনোনীত ডেপুটি স্পিকারই বালিগঞ্জের বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করাতে চলেছেন।
বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিধায়ক পদে জয়ের পর ২৪ দিন কেটে গেলেও এখনও শপথ নিতে পারেননি বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের শপথ সংক্রান্ত চিঠি রাজভবন থেকে সোজা ডেপুটি স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে, ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় অধ্যক্ষকে এড়িয়ে বাবুলকে শপথ গ্রহণ করাতে রাজি হচ্ছিলেন না। বিষয়টি নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে। বিধায়ক নির্বাচিত হওয়ার পরেও শুধুমাত্র শপথ নিতে না পেরে এলাকার উন্নয়নের কাজও করতে পারছিলেন না বাবুল।
শেষমেশ কাটল জট। অধ্যক্ষের অনুমতি নিয়ে বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করাতে রাজি হয়েছেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামিকাল বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিধানসভায় বাবুলকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন ডেপুটি স্পিকার। জানা গিয়েছে, বিধায়ক হয়েও বাবুল নিজের কর্তব্য পালন করতে পারছিলেন না বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অধ্যক্ষ নিজে। বিষয়টি নিয়ে তিনি ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাতেই কাটে জট।
আরও পড়ুন- ‘রামপুরহাটে কয়েক ঘণ্টাতেই ক্ষতিপূরণ, অন্যদের কেন নয়?’ রাজ্যকে প্রশ্ন ধনকড়ের
এবিষয়ে বাবুল বলেন, ''কাল বেলা সাড়ে ১২টায় শপথ নিচ্ছি। পার্থদা ফোন করেছিলেন। বিধানসভা থেকেও শপথগ্রহণের ব্যাপারে ফোন এসেছিল।'' অন্যদিকে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এপ্রসঙ্গে বলেন, ''রাজ্যপাল উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাবুল সুপ্রিয়র শপথের ব্যাপারে মনোনীত করেছিলেন। আমরা বারবার বলছিলাম, তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের নাগরিকদের তিনি পরিষেবা দিতে পারছেন না।''
এদিকে, বিধায়ক হওয়ার পরেও বাবুলের শপথ নিয়ে এই দড়ি টানাটানিতে বেজায় বিরক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি এপ্রসঙ্গে বলেন, ''পশ্চিমবঙ্গে কাজের চেয়ে অকাজ বেশি হয়। এই ঘটনা তারই প্রমাণ। নির্বাচিত হওয়ার পরেও শপথ নেওয়ার ক্ষেত্রে এই বিতর্ক না হলেই ভালো হতো।''