"সত্যজিৎ বাচ্চা ছেলে। ওর হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। যদি নিরপেক্ষ তদন্ত হয়, আমি 'ফেস' করতে রাজি আছি।" সাংবাদিক সম্মেলনে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে অভিযুক্ত তথা বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
নিরপেক্ষ তদন্ত বলতে কী বলতে চাইছেন মুকুল রায়?
একদা তৃণমূল কংগ্রেসের দু'নম্বর গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমানায় সিআইডি তদন্তের কোনও মূল্য নেই। মমতা যা বলবেন, সিআইডি তাই করবে। তাহলে কি সিবিআই তদন্ত চাইছেন মুকুল? পোড় খাওয়া রাজনীতিক বলছেন, "মমতার তো সিবিআই-এর ওপর ভরসা নেই, তাই বলছি, যে কোনও নিরপেক্ষ সংস্থা দিয়ে তদন্ত করাতে।" এরপরই কিঞ্চিৎ কটাক্ষের সুরে তিনি বলেন, "মমতার তো এখন চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে খুবই ভাল সম্পর্ক। তাহলে চন্দ্রবাবুর রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে এই ঘটনার তদন্তা করানো হোক না।"
আরও পড়ুন: শিলং-এ জিজ্ঞাসাবাদ: ল্যাপটপ-মোবাইল কোথায়?
উল্লেখ্য, শনিবার ভর সন্ধেবেলা দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন নদীয়ার তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। বিধায়ক খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়। এরপরই মুকুল রায়ের নামে এফআইআর দায়ের করা হয় এবং নদীয়া জেলার তৃণমূল সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তও সংবাদ মাধ্যমে এই খুনে মুকুল যোগের বিষয়ে সরব হন। এ বিষয়ে মুকুলের সাফ জবাব, কারও নাম এফআইআর-এর কাগজে লিখে দিলেই কিছু প্রমাণ হয় না। তিনি আরও জানান, এমন মন্তব্য করার জন্য তিনি গৌরীশঙ্কর দত্তকে উকিলের চিঠি পাঠিয়েছেন।
কেন খুন হলেন সত্যজিৎ বিশ্বাস? মুকুল রায় কি তাঁকে বিজেপি-তে যোগ দিতে বলেছিলেন?
মুকুল বলছেন, "বিজেপি-তে যোগ দেওয়ানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আসলে রাজ্যে বিজেপি-র গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রায় মানুষের সমাগম দেখে পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাচ্ছে শাসক তৃণমূলের।" সে কারণেই এসব ঘটছে। ওই জেলায় একদা তৃণমূল সভাপতি দুলাল বিশ্বাস খুন হয়েছিলেন। প্রাথমিকভাবে খুনের দায় বিজেপি-র ঘাড়ে চাপানো হলেও পরে দেখা যায় তৃণমূলই যুক্ত, দাবি মুকুলের। এরপরই তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি খুনের রাজনীতি করে না। সত্যজিৎ বিশ্বাসের খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত হলেই বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে এদিন বারবার দাবি করেন মুকুল রায়।