নন্দীগ্রামে সভা শুভেন্দুর, সিঙ্গুরে বিদ্রোহী মাস্টারমশাই

বিজেপিও তৃণমূলের ঘারে নিঃশ্বাস ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথবাবুর দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

বিজেপিও তৃণমূলের ঘারে নিঃশ্বাস ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথবাবুর দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

জেলায় জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের নয়া কমিটি নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ অব্যাহত। এবার সেই আগুনে ঘি ঢাললেন সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই তথা বিদ্রোহী বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। রীতিমত দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। তবে মন্ত্রীত্বে থাকার সময়ও একবার বিদ্রোহী হয়েছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে চুপ করে গিয়েছিলেন। তবে এবার শুভেন্দু অধিকারী দলীয় পতাকার বাইরে একের পর এক কর্মসূচি করে চলেছেন। ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে জনসভা শুভেন্দুর। বিজেপিও তৃণমূলের ঘারে নিঃশ্বাস ফেলছে। সেই প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথবাবুর দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisment

২০১১-তে বামেদের ভিত নড়িয়ে দিতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম। নন্দীগ্রামের নায়ক বিদ্রোহী না হলেও অরাজনৈতিক কর্মসূচিতেই ব্যস্ত রয়েছেন। জনসংযোগ বাড়িয়ে চলেছেন। কর্মসূচিতে দলের পতাকাও নেই, নেত্রীর ছবিও নেই। ঠিক এই সময় সিঙ্গুরের বিধায়কের গলায় ক্ষোভের সুর। এ যেন অনেকটাই বিচ্ছেদের সুর।

আরও পড়ুন- “দিদির ভাইয়েরা বেশি বাড়াবাড়ি করলে শ্মশানে পাঠাব”, ফের হুমকি দিলীপের

দু'দিন আগে হুগলি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি ঘোষণা মাঝপথে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নামের তালিকা ঘোষণার মাঝে ফোন এসেছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। রবিবার সেই অঘোষিত জেলা কমিটি ঘোষণা হতেই ক্ষোভ বাড়তে থাকে দলে। দলত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে সিঙ্গুর-সহ হুগলির বেশ কয়েকটা বিধানসভা আসনে তৃণমূলকে টেক্কা দিয়েছিল বিজেপি। অভিজ্ঞ মহলের মতে, তারপর থেকে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় রাজনৈতিক ভাবে আরও মাটি শক্ত হতে থাকে পদ্ম শিবিরের।

Advertisment

ব্লক সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিঙ্গুরের বিধায়ক। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, "এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে দল বদলে ভিন্ন দলে যাওয়ার ভাবনাচিন্তা করতে হবে। আমার ক্ষোভের কারণ, দুর্নীতিতে যুক্তরা আজ দল পরিচালনার দায়িত্বে, আর আমরা যাঁরা দুর্নীতিতে নেই তাঁদের অপমান, অবহেলা, বঞ্চনা করে তাড়িয়ে দেওয়া হলো! আমার এখানকার সভাপতিকে সরানো মানছি না। দল আমাকে টিকিট দিলেও আমাকে বাধা দেওয়া হবে, ব্যর্থ প্রমাণ করে হারানোর চক্রান্ত হবে, অপমান করা হবে। যা অতীতেও হয়েছে। তাই প্রয়োজনে দল পরিবর্তন করতে হলে তা-ই করব।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc Suvendu Adhikari