২০০-এর ওপর আসনে জয় পেয়ে ক্ষমতাসীন হলেও সংযত আচরনকেই হাতিয়ার করে বিধানসভায় বিজেপিকে রুখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার বিধানসভায় তৃণমূলের পরিষদীয় দলের বৈঠকে নতুন বিধায়কদের পাঠ দেওয়া হয়। এদিন একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বর্ষীয়াণ বিধায়ক সুব্রত মখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সীরা পাঠ দেন বিধায়কদের। লাইব্রেরি গিয়ে পড়াশুনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ভূয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত ভূয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের ঘটনার পর দল আরও সতর্ক। দেবাঞ্জনের সঙ্গে একাধিক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীর ছবি প্রকাশ্যে আসায় দল অস্বস্তিতে পড়েছে। সামলাতে হয়েছে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এমন অস্বস্তিতে না পড়তেই সতর্ক করল নেতৃত্ব। তৃণমূল মহাসচিব তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সামাজিক অনুষ্ঠানে দলীয় বিধায়কদের হাজিরা নিয়েও সাবধান হতে বলেছেন । ওই অনুষ্ঠানে আর কারা থাকবেন, কিসের কর্মসূচি এসব বিস্তারিত জানতে হবে।
আরও পড়ুন- BJP KMC Abhijan: আটক দিলীপ-অগ্নিমিত্রা-সায়ন্তন, ধুন্ধুমার সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ
আরও পড়ুন- কোন শর্তে তৃণমূলে যোগ প্রণব-পুত্রের? খোলসা করলেন স্বয়ং অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়
বিধায়কদের নির্দেশ দওয়া হয়েছে যে, বিধানসভায় রোজ হাজির হতে হবে। কাল ও পড়শু দু'দিন সভায় আসতে হবে। প্রশ্ন-উত্তরপর্বে আগে থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। সবাইকে পড়াশুনা করতে হবে। লাইব্রেরি ব্যবহার করতে হবে। সংসদীয় রাজনীতির বিষয়বস্তু জেনে নিতে হবে।
তৃণমূল নেতৃত্বর ধারনা, এবারে বিধানসভায় আগ্রাসী ভূমিকা নিতে পারে বিজেপি। ধুন্ধুমার কান্ড ঘটাবে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস-সিপিএম বিধায়করা ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখালেও আলোচনায় অংশ নিতেন। সূত্রের খবর, সেক্ষেত্রে দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশ, বিরোধীরা হাউজ ভন্ডুল করতে চাইলে তৃণমূল বিধায়কদের সংযত থাকতে হবে। বিরোধীরা কিছু বললে তেড়ে-ফুঁড়ে ওঠা যাবে না। আমরাই নির্দেশ দেব। দলের নির্দেশ মেনেই বিরোধীদের জবাব দিতে হবে। এদিনের বৈঠকে হাজির ছিলেন না মদন মিত্র ও মুকুল রায়। আইনত মুকুল রায় এখনও বিজেপির বিধায়ক।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন