ডুমুরজলায় বিজেপির সভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সাংসদ ট্যুইটারে লেখেন, 'যারা ঠিক করে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে পারে না, তারা দেশপ্রেম আর জাতীয়তাবাদের পাঠ দেয়। এই দলটাই আবার দাবি করে তারা দেশের সম্মানের ধ্বজা বহন করছে।'
এবার কি দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইবে বিজেপি? প্রশ্ন তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ট্যুইটের সঙ্গে 'শেম অন ইউ বিজেপি' ব্যানারে একটা ভিডিও পোস্ট করেন তৃণমূলের এই যুব নেতা। সেই ভিডিও উল্লেখ করে অভিষেক দাবি করেছেন, 'ডুমুরজলায় বিজেপির সভায় জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করা হয়েছে।'
দেখুন তৃণমূল সাংসদের ট্যুইট করা সেই ভিডিও:
ট্যুইট করে আক্রমণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেসও। তারা অফিসিয়াল ট্যুইট পেজে লেখে, 'আজ বাংলার দেশভক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে @BJP4India-এর নেতৃত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সংগীত ভুলভাবে গেয়ে দেশকে অপমান করেছেন।এই ভাবেই বিজেপির নেতাদের লোক দেখানো জাতীয়তাবাদ প্রকাশ্যে আসছে! এই অপমান দেশ মেনে নেবে না! তাঁদের অবিলম্বে ক্ষমা চাইতে হবে।'
আরও পড়ুন ‘অপমান বাড়লে জেদও বাড়বে, বাংলায় পদ্ম ফোটাবই’, গেরুয়া মঞ্চে চ্যালেঞ্জ রাজীবের
ট্যুইটে সরব হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, 'অভাবনীয়ভাবে তাঁরা "জন-গণ-মঙ্গলদায়ক"-এর পরিবর্তে গেয়ে বসলেন "জন-গণ-মন-অধিনায়ক"! দেশভক্তির নামে জাতীয় সংগীতের অপমান একমাত্র বিজেপিই করতে পারে। এই লজ্জাজনক ঘটনায় হতবাক গোটা দেশ!'
এব্যাপারে খানিকটা দায় এড়িয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। এই বিতর্কে বিজেপি নেতা দাবি করেন, 'সেই সময় আমি মঞ্চে ছিলাম না। অভিষেক ঠিক কী ট্যুইট করেছেন সেটাও জানি না।'