সংসদে বাদল অধিবেশন শুরু হতেই এবার পিএম কেয়ার্স ফান্ড নিয়ে মোদী-শাহ সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মহুয়া মৈত্র। তিনি সাফ জানান এই ফান্ড জিএসটি অধীনে বিধিবদ্ধ যে প্রতিশ্রুতি ছিল তা মেনে তৈরি হয়নি। সাংসদ বলেন, এই তফবিল তৈরির মাধ্যমে রাজ্যর ত্রাণ তহবিলের ক্ষতি করে পাবলিক ফান্ডকে আদতে কোণঠাসা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দেগেই মহুয়া মৈত্র বলেন, “আজকের ভারত আমাকে সম্রাটের নতুন পোশাকের জন্য হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসনের গল্পের কথা মনে করিয়ে দেয়। যেখানে সম্রাটের পরনে কিছুই ছিল না। তবে স্তাবক দরবারীরা সেটি রাজাকে বলতে পারেনি।” এরপরই নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিখ্যাত কবিতা ‘উলঙ্গ রাজা’র প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বাংলার কবি তার কবিতায় বলেছিলেন পুরো রাজ্যের একমাত্র ছোট নিষ্পাপ বালক উঠে দাঁড়িয়ে একবার নগ্ন সম্রাটকে জিজ্ঞাসা করার সাহস দেখিয়েছিল। বলেছিল, ‘রাজা, তোর কাপড় কোথায়?’ আর আজ আমি একই প্রশ্নটি করছি: সম্রাট, আপনার কাপড়গুলি কোথায়?”
আরও পড়ুন, রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড ডেরেক-দোলা সহ ৮ বিরোধী সাংসদ
তৃণমূল সাংসদ বলেন যে ভারতে সরকারী খাতের যে বিভিন্ন উদ্যোগ রয়েছে সেখানের সংস্থারাও প্রতিযোগীতা করে পিএম কেয়ার্স ফান্ডে টাকা জমা করছেন এবং তা অনেকটা ‘সম্রাটের দরবারীদের মতো, যারা জনগণের তহবিল সম্রাটদের উপহার দেওয়ার জন্য প্রতিযোগীতা করে থাকতেন।”
এমনকী ভারত-চিন সম্পর্ক নিয়েও নরেন্দ্র মোদী সরকারকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তৃণমূল সাংসদ। চাইনিজ সংস্থাগুলি থেকে তহবিল গ্রহণের জন্য সরকারের তীব্র নিন্দা করেন এবং মহুয়া বলেন, “কোনও মৃত ভারতীয়ও তাঁদের শত্রুর অর্থের বিনিময়ে ভেন্টিলেটরে যেতে চাইবে না।”
এছাড়া কর ও অন্যান্য আইন (কিছু বিধানের পরিমার্জন এবং সংশোধন) বিল নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন মহুয়া মিত্র বলেন, “কেন্দ্র তার দায়িত্ব থেকে পালাতে পারে না। তাদের অবশ্যই ২.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। বিল পাসের সময় মাননীয় মন্ত্রী পিএম কেয়ার ফান্ডে যে ৩৮টি পিএসইউ ২ হাজার ১০০ কোটিরও বেশি টাকা দিয়েছে সে ব্যাপারে চুপ থেকেছে। মানুষের টাকা নিয়ে এসব করেছে। কোনও অডিটও করা হয়নি।”
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন
Get all the Latest Bengali News and West Bengal News at Indian Express Bangla. You can also catch all the Politics News in Bangla by following us on Twitter and Facebook
Web Title: