ত্রিপুরায় যুব তৃণমূলের নেতাদের উপর হামলার আঁচ এবার দিল্লিতে। সোমবার সংসদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভে সরব তৃণমূল সাংসদরা। মোদী-শাহকে তুলোধনা করে বিক্ষোভে দেখিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়রা। এদিন তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল ছিলেন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। তৃণমূল নেতাদের অভিযোগ, রীতিমতো পরিকল্পনা করেই ত্রিপুরায় তাঁদের দলের যুব নেতাদের উপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। এই হামলা সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর নির্দেশে হয়েছে বলে ভয়ঙ্কর অভিযোগ করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরায় দলের সংগঠন মজবুত করতে তৎপর তৃণমূল। সপ্তাহখানেক আগেই ত্রিপুরায় গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর কনভয়ে 'হামলা'-র অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকী অভিষেককে শুনতে হয়েছে 'গো-ব্যাক' স্লোগান। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছে বলে তোপ দেগেছিলেন অভিষেক।
আরও পড়ুন- অভিষেকের নিরাপত্তা নিয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ মমতার, নিশানায় অমিত শাহ
তারই কয়েকদিনের মাথায় গত শনিবার ত্রিপুরায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়েছিলেন যুব তৃণমূলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য, সুদীপ রাহা, জয়া দত্তরা। অভিযোগ, সেখানেও তাঁদের উপর চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। পরে আক্রান্ত তৃণমূলের যুব নেতাদেরই গ্রেফতার করে খোয়াই থানার পুলিশ। পড়শি রাজ্যে দলের যুব নেতাদের উপর হামলার খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যান কুণাল ঘোষ, ব্রাত্য বসুরা। ত্রিপুরা পৌঁছে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। রবিবার খোয়াই থানায় গিয়ে দলের কর্মীদের মুক্তির দাবি জানান অভিষেক। শেষমেশ আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন তৃণমূলের ১৪
জন নেতা।
আরও পড়ুন- লোকসভা টিভিতে বিরোধীদের বিক্ষোভের সম্প্রচার মাত্র ৭২ সেকেন্ড, বিতর্ক তুঙ্গে
এদিকে, ত্রিপুরায় দলীয় কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সংসদে সোচ্চার হওয়ার ডাক দিয়েছিল তৃণমূল। ঘোষণা মতোই এদিন সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদরা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভে সামিল ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, সৌগত রায়-সহ তৃণমূলের অন্য সাংসদরা। 'ত্রিপুরায় গণতন্ত্র ফেরাতে হবে', প্ল্যাকার্ডে এই লেখা নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তৃণমূলের সাংসদরা। এদিন তৃণমূলের এই বিক্ষোভে দেখা গিয়েছে বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুলীন মণ্ডলকেও। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন সুনীল মণ্ডল। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে সুনীল মণ্ডল নিজে তাঁর বিজেপি-সখ্যতার কথা অস্বীকার করেছেন।
সুনীল মণ্ডল ফের তৃণমূলের সঙ্গে একযোগে সোচ্চার হওয়া প্রসঙ্গে এদিন দলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় বলেছেন, 'ভুল শুধরে নিয়েছেন সুনীল মণ্ডল। এখন তিনি জানিয়েছেন তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন তিনি। আমাদের সঙ্গেই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন