রামপুরহাটের 'গণহত্যা' নিয়ে এবার চাপ বাড়ানোর পাল্টা কৌশল তৃণমূলের। বুধবারই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল সাংসদরা। দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সাংসদদের একটি দল আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল সাংসদরা ঠিক কী জানাবেন তা স্পষ্ট নয়।
রামপুরহাটের বগুটুই গ্রামের নৃশংস 'গণহত্যা' নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই বগটুই গ্রামে উপপ্রধান খুন ও তার 'বদলা' হিসেবে পরপর বাড়ি পুড়িয়ে খুন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। মঙ্গলবারই দিল্লিতে রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নালিশ জানান বিজেপি নেতারা।
আরও পড়ুন- ‘কোথা থেকে এক লাটসাহেব এসেছেন’, রামপুরহাট কাণ্ডে রাজ্যপালকে খোঁচা মুখ্যমন্ত্রীর
শাহ গোটা ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে, রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে রাজ্যের কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্টও চেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেই রিপোর্ট পেলেই বাংলায় কেন্দ্রীয় দলও পাঠানো হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
এবার রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে শাহি-দরবারে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এদিন বগটুই পূর্বপাড়ার 'গণহত্যা' নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা তৃণমূল সাংসদদের। যদিও শাহকে বগটুই নিয়ে ঠিক কী নালিশ জানাবেন তৃণমূল সাংসদরা, তা স্পষ্ট হয়নি।
আরও পড়ুন- বগটুইয়ের পথে বাস থামিয়ে শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানে বিজেপি বিধায়করা, কটাক্ষ তৃণমূলের
তবে একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, 'বগটুই গ্রামের ঘটনাটির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই', কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে এমনই জানাতে পারেন তৃণমূল প্রতিনিধি দল। বগটুইয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরেই পরপর কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে বলেও শাহকে জানাতে পারেনন তৃণমূল সাংসদরা।
তবে বিজেপি কিন্তু বগটুই-কাণ্ডের দায় এরাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উপরেই চাপিয়েছে। শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই রামপুরহাটের বগটুইয়ে তৃণমূলের উপপ্রধান খুন ও পরপর বাড়িতে আগুন লাগানোরা ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি বিজেপির। যদিও বগটুইয়ের এই 'গণহত্যা'-র পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। রাজ্য সরকারকে কালিমালিপ্ত করতেই এই চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের শাসকদলের।