সুস্মিতা দেবকে রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থী করল তৃণমূল। মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে জোড়াফুলের প্রার্থী হলেন সুস্মিতা দেব। বাংলা থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন মানস ভুঁইয়া। একুশের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাংসদ পদ ছাড়েন তিনি। পরবর্তী সময়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন অসমের শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ। তখন থেকেই মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে জল্পনা চলছিল। অবশেষে সেই জল্পনাই সত্যি হল।
তৃণমূলে গুরুত্ব আরও বাড়ল সুস্মিতা দেবের। আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সুস্মিতা দেবকে। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সুস্মিতাকে সংসদের উচ্চকক্ষে নিয়ে যেতে সচেষ্ট তৃণমূল। দলের তরফে এদিনই সুস্মিতাকে রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থী করার বিষয়টি টুইট করে জানানো হয়েছে।
আগামী ৪ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ-সহ তামিলনাড়ু, অসম, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশে রাজ্যসভার ৬টি ফাঁকা আসনে উপনির্বাচন হবে। উপনির্বাচনের দিনই ওই ৬ আসনে ভোটের ফলও ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর।
গত মাসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন অসমের শিলচরের প্রাক্তন এই কংগ্রেস সাংসদ। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে দল ছাড়ার দিনেই তৃণমূলে যোগ দেন সুস্মিতা। এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ত্রিপুরা ও অসমেও দলের সংগঠন পোক্ত করতে চাইছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন- তথ্য গোপন করেছেন মমতা! কমিশনে চিঠি বিজেপি প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্টের
সেই কাজে সুস্মিতা দেবের মতো লড়াকু নেত্রীকে সামনের সারিতে এনে রাজনৈতিক কর্মসূচি আরও বেশি জোরদারের চেষ্টা চলছে ওই দুই রাজ্যে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূলের হয়ে পুরোদমে কাজ শুরু করে দিয়েছেন সুস্মিতা। তাঁর মতো লড়াকু নেত্রীর অভিজ্ঞতাকে এবার সংসদের উচ্চকক্ষেও কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন