তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে যোগ দিলেন উপাচার্যরা। মঙ্গলবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে টিএমসিপির ধর্না মঞ্চে যোগ দেন রাজ্যের তিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, সিধো কানহো বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা এদিন টিএমসিপি-র ধর্না মঞ্চে যান। সরকারি পদে থেকে কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে উপাচার্যরা গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। সিএএ বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে রানি রাসমণিতে ধর্না চালাচ্ছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বড় বিপাকে দিলীপ ঘোষ, থানায় এফআইআর দায়ের তৃণমূলের
এ প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, ‘‘আমার মতে উপাচার্যদের এই ধরনের আন্দোলনে যোগ দেওয়া ঠিক নয়। এভাবে ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়ে আন্দোলনে যোগ দেওয়া ঠিক নয়’’। অন্যদিকে, এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া।
সোমবার ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আন্দোলন করতে গেলে বিবেক, হৃদয় থাকতে হয়। আন্দোলন মানে হিংসা নয়। শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুন’’। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময়ও ধর্না মঞ্চ থেকে সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় সরব হয়েছে টিএমসিপি। গত শনিবার মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পরই টিএমসিপির ধর্না মঞ্চে যোগ দিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আমরা সিএএ-এনআরসি মানা হবে না, বাতিল করুন’’। সেদিন রাতে ডোরিনা ক্রসিংয়ে পড়ুয়াদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বাধে। যা ঘিরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি সামলাতে মাইক হাতে শান্তি বজায় রাখার বার্তা দেন মমতা।