Saayoni Ghosh: আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে হেরে গিয়েও "আসল খেলা খেললেন সায়নী ঘোষই", বর্তমানে তেমনটাই বলছেন অনুরাগীরা। তাঁদের মন্তব্য, তৃণমূলের এই তারকা নেত্রীর ক্ষেত্রে একটাই কথা প্রযোজ্য- "হার কে জিতনে ওয়ালো কো বাজিগর কহেতে হ্যায়।" কারণ, অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ এখন যুব তৃণমূলের নয়া সভানেত্রী। নিঃসন্দেহে বড় দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই নিজের দায়িত্বের পাঠ বুঝে নিতে উদ্যত হয়েছেন তিনি। শনিবার দলের তরফে গুরুদায়িত্ব পেয়েই সোমবার সায়নী ছুটলেন তৃণমূল ভবনে। যুব তৃণমূল সভানেত্রী পদে শুরু করে দিলেন কাজ। আর ময়দানে নেমেই সায়নী ঘোষের হুঁশিয়ারি, "২০২৪-এ আরও বড় খেলা হবে।"
Advertisment
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে যুব সংগঠনকে আরও শক্ত করতে প্রস্তুত সায়নী। সেই প্রেক্ষিতেই সোমবার দুপুরে নিজের দায়িত্ব বুঝে নিতে তিনি পৌঁছন তৃণমূল ভবনে। সেখানে দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে দেখা করেন। সদ্যপ্রাক্তন সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করেন সায়নী। অভিষেকের থেকেই সমস্ত কাজ বুঝে নেবেন নয়া সভানেত্রী। সায়নী জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই জেলাস্তরের যুব সংগঠনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সংগঠনকে চাঙ্গা করতে হবে বলে মত তাঁর। সেই প্রেক্ষিতেই হুঁশিয়ারি ছুঁড়লেন, "২০২৪-এ লড়াই হবে না, বড় খেলা হবে।"
প্রসঙ্গত, খেলা হবে স্লোগানেই একুশের বিধানসভা ভোটপ্রচারের ময়দানে ঝড় তুলেছিল তৃণমূল। সেই স্লোগানকে হাতিয়ার করেই এবার তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ হুঁশিয়ারি ছুঁড়লেন আগামী নির্বাচনে আরও বড় পরিসরে খেলার জন্য।
দেলর তরফে গুরুদায়িত্ব পেয়েই সায়নী বলেছিলেন, “আমি এখন এসে গিয়েছি, আর মাদার আর যুবর মধ্যে কোনও সংঘাত-মনোমালিন্য থাকবে না। আমি ভোটের সময় দুই ধরনের নেতার সঙ্গেই কাজ করেছি, ঘুরেছি। সবাইকে নিয়ে চলতে ভালবাসি, আগামিদিনেও চলব। দলনেত্রী কোনও অভিযোগ পাবেন না।” যেমন কথা তেমন কাজ। এবার জেলাস্তরের যুব সংগঠনকে আরও চাঙ্গা করে তুলতে দৃঢ়প্রত্যয়ী সভানেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন