২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের চোখ ধাঁধানো সাফল্য থেকে এ মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের সময়কাল পর্যন্ত গেরুয়া শিবিরের সাফল্যের অন্যতম বড় কারণ প্রযুক্তি নির্ভরতা তথা সোশাল মিডিয়ায় অসাধারণ দখলদারী। হাল আমলে করোনা পরিস্থিতিতে সামাজিক দুরত্বের 'অস্বস্তির' মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমকে (সোশাল মিডিয়া-সহ) ভিন্ন মাত্রায় কাজে লাগিয়েছে মোদী-শাহের দল। এছাড়া আমফান বিধ্বস্থ বাংলা, ক্ষমতাসীন তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গঠনেও বিশেষ উৎসাহ নিয়ে নেমে পড়েছে গেরুয়া আইটি সেল। সোশাল মিডিয়া এবং ডিজিটাল মাধ্যমে এই প্রবল কার্যকারীতায় এবার বিশেষভাবে ভরসা রাখতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলও। বাংলার আসন্ন নির্বাচনে তাই সোশাল মিডিয়া-ডিজিটালমুখী যুব সম্প্রদায়কে দলে টেনে বাজিমাত করার পক্ষে বদ্ধপরিকর তৃণমূল সরকার।
আরও পড়ুন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমফান ত্রাণ সামগ্রী দুর্নীতির বড় অভিযোগ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার
টুইটার-ফেসবুকে বিজেপি নেতানেত্রীদের প্রচারের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা সুর চড়াতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। শুধুমাত্র বিজেপিকে আক্রমণ করেই সীমাবদদ্ধ থাকতে চাইছে না মমতার দল। নির্বাচনের আবহে অনলাইন দুনিয়ায় 'বাংলার যুবশক্ত'-কে বিশেষভাবে কাজে লাগাতে চাইছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুব বিগ্রেড। সূত্রের খবর, রাজ্যের লক্ষ লক্ষ তরুণদের মানসিকতা বুঝে এবং ভবিষ্যতের জন্য নতুন নেতার খোঁজ চালাতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জুনের ১১ তারিখ এই অনলাইন প্ল্যাটফর্মের উদ্বোধন করে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "এই প্ল্যাটফর্মে যারা রেজিস্টার করবেন, তাঁরা যুব যোদ্ধার পদ পাবেন। রাজনৈতিক আদর্শে উদ্বুদ্ধ যুব সম্প্রদায়ের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাওয়ার জন্যই এই প্ল্যাটফর্ম। এরপর রাজ্য-জেলা-ফিল্ড এই তিনটি কমিটি গঠন করা হবে এঁদের সকলকে নিয়ে। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের ২ হাজার ৮০০ সদস্য থাকবেন এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে। সমাজের দুঃসময়ে এলাকাবাসীর পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যর হাত বাড়িয়ে দেবেন এই যুব যোদ্ধারা।"
অভিষেক এও জানান যে ইতিমধ্যেই ৫৫ হাজার যুব যোদ্ধাদের নিয়োগ করা হয়েছে। তৃণমূল সূত্রের খবর, যুব যোদ্ধা হিসেবে রেজিস্টার করার পর বিধানসভা এলাকাভিত্তিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রত্যেককে যোগদান করানো হচ্ছে।
I am immensely proud that we've accomplished the on-boarding of 1 lakh+ youth from Bengal in just 13 days, against our target of 30 days. I'm thoroughly indebted to everyone who has come forward to truly display the power of #BanglarJuboShakti.
Visit: https://t.co/5CzCvZ1FAY pic.twitter.com/43GS3bgiQG— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) June 23, 2020
তৃণমূল যুব কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, "বিজেপির সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারের সঙ্গে লড়াই করতেই আমরা রাজ্যের যুব সম্প্রদায়কে নিয়ে শক্তপোক্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করছি। এক মাস পর পর ভার্চুয়াল বৈঠকও হবে এক লক্ষ যুব যোদ্ধাদের সঙ্গে। কীভাবে কাজ করবেন তাঁরা, বাংলার মানুষকে সাহায্য করতে কী কী দায়িত্ব নিতে হবে তাঁদের, সেগুলিও বলে দেওয়া হবে।"
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন