ত্রিপুরায় তৃণমূলে ফের ভাঙনের ইঙ্গিত। কয়েক মাস আগেই গঠিত হয় রাজ্য কমিটি। সভাপতি করা হয়েছিল বিজেপি থেকে আসা সুবল ভৌমিককে। কিন্তু কয়েক মাস গড়াতেই সুবল ভৌমিককে পদ থেকে সরিয়ে দিল প্রদেশ নেতৃত্ব। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সুবল ভৌমিককে অপসারণের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এবার তাঁকে অন্য কোনও পদ দেওয়া হবে কি না তা বলা হয়নি। সুবল ভৌমিকের তৃণমূল ছাড়ার জল্পনা তৈরি হয়েছে।
ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনের আর মাত্র ৬ মাস বাকি। তার আগেই রাজ্য কমিটির সভাপতিকে অপসারণ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ত্রিপুরায়। বিধানসভা ভোটের আগে ফের ভাঙনের আশঙ্কা রাজ্য কমিটিতে। তৃণমূলের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সুবল ভৌমিককে ত্রিপুরা প্রদেশ তৃণমূল কমিটির সভাপতি পদ থেকে অবিলম্বে সরানো হল। রাজ্য কমিটি, যুব তৃণমূল, মহিলা তৃণমূল তফসিলি জাতি-উপজাতি সেলের অন্য পদাধিকারীরা যেমন ছিলেন থাকবেন। ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ সুস্মিতা দেব আপাতত প্রদেশ নেতৃত্বর কাজকর্ম দেখবেন। শীঘ্রই নয়া সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে।
প্রসঙ্গত, সময়ে সময়ে দল পাল্টেছেন সুবল। কখনও কংগ্রেস, তার পর বিজেপি আর এখন তৃণমূলে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি ছিলেন তিনি। তার পর তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসের টিকিটে লোকসভায় লড়লেও হেরে যান বিজেপির প্রতিমা ভৌমিকের কাছে। তার পর ২০২১ সালে তৃণমূলে যোগ দেন সুবল। তাঁর এই অপসারণ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি সুবল ভৌমিক।
আরও পড়ুন ‘মমতা যা করেছেন, অনেক করেছেন’, দিদির প্রশংসা কেষ্টর গলায়
কিছুদিন আগেই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বাপ্টু চক্রবর্তী-সহ বেশ কয়েকজন নেতা তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ত্রিপুরায় বিজেপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে তৃণমূল। তার আগে বিজেপি থেকে তৃণমূল যোগ দেওয়া মাথা মুড়িয়ে শিরোনামে আসা বিধায়ক আশিস কুমার দাস দল ছাড়েন। তাঁরও একই অভিযোগ ছিল। মূলত অভিযোগের তির ছিল সুবল ভৌমিকের দিকেই। তাঁকে রাজ্য সভাপতি পদে অনেকেই মেনে নিতে পারছিলেন না বলে সূত্রের খবর। সেই কারণেই হয়তো তাঁকে অপসারিত করল তৃণমূল।