এ রাজ্যে লোকসভা ভোটের লড়াইয়ের সঙ্গে মহাভারতের পাণ্ডব ও কৌরবদের লড়াইয়ের তুলনা টানলেন বিপ্লব কুমার দেব। মঙ্গলবার হুগলি জেলার আরামবাগে এক জনসভায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগতে গিয়ে মহাভারতের জন্মান্ধ রাজা ধৃতরাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। বিপ্লব দেব বলেছেন, "এরাজ্যে লড়াই পান্ডবদের (বিজেপি) সঙ্গে কৌরবদের (তৃণমূল)। বাংলায় মহাভারতের শেষ যুদ্ধে পরাজিত হবে কৌরবরা।"
তাঁর নানারকম বিতর্কিত বক্তব্যের কারণে যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। তবে বক্তা হিসাবে তাঁর চাহিদা রয়েছে বলে মনে করছে বঙ্গ বিজেপি। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রকারান্তরে অন্ধ বললেন বিপ্লব দেব? কী বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিলেন তিনি?
আরও পড়ুন: বেকারত্ব ঘোচাতে বিপ্লব দেবের গরু দান
মঙ্গলবার তিনি বলেন, "আপনার বাড়িতে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী গিয়েছিলেন আপনার মায়ের আশীর্বাদ নিতে। তখন আপনার গর্ব হয়েছিল। আজ আপনার পার্টির কর্মীরা ছেলের সামনে মাকে খুন করছে। আপনি এসব দেখেও ধৃতরাষ্ট্রের ভূমিকায় বসে আছেন। আপনি আপনার কাল তৈরি করছেন।" তাঁর আরও বক্তব্য, "মহাভারত প্রমাণ করে দেয়, পাঁচ পান্ডবের কাছেও ১০০ জন কৌরবকে হারতে হয়েছে। ধৃতরাষ্ট্রের মতো অন্ধ হয়ে থাকার ফলে আপনার কৌরব বংশ ধ্বংস হবে ২০১৯-এ মহাভারতের শেষ লড়াইয়ে। বাংলার মানুষ তাই বলছেন। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে একদিকে কৌরব কূল, অন্য দিকে পান্ডবরা।"
এদিন তৃণমূল সুপ্রিমোকে তিনি পরামর্শ দিতেও ভোলেন নি। কী সে পরামর্শ? "দিদি, আপনি মহিলা। এখনও সময় আছে। বঙ্গের মানুষের কাছে হাত জোড় করে বলুন দিদি, আমার অন্যায় হয়েছে।" এ নিয়ে বিপ্লব শুনিয়েছেন আলেকজান্ডার ও পুরু রাজার গল্পও। ইতিহাস বলে, আলেকজান্ডারের প্রশ্নের জবাবে পুরু বলেছিলেন, "রাজার সঙ্গে রাজা যেমন আচরণ করে, তেমন আচরণই আমি আপনার কাছে আশা করি।" পুরুর সেই জবাব শুনে তাঁকে মুক্তি দিয়েছিলেন আলেকজান্ডার। "২০০ বছরে ইংরেজও ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর মমতার সরকার তো মাত্র সাত বছরের," বলেন বিপ্লব।
ত্রিপুরায় ১০ মাসের উন্নয়নের সঙ্গে এ রাজ্যের সাত বছরের উন্নয়নের তুলনা করেন বিপ্লব। নিজের রাজ্যে নির্বাচনের আগে তিনি দেড় লক্ষ কিলোমিটার ঘুরেছেন বলেও দাবি করেছেন ত্রিপুরার বিজেপি নেতা। এদিন তাঁর উক্তি, "জন্মিলে মরিতে হবে, তারপর কে কোথায় দেখেছে।"