আগরতলায় আগামিকাল হচ্ছে না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। করোনাকালে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরায় সব বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ রয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা আইন-সহ ১৪৪ ধারা বলবৎ রয়েছে রাজ্যে। সেই কারণেই বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে এদিন ত্রিপুরা হাইকার্টে জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী।
উল্লেখ্য, ত্রিপুরায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পদযাত্রার অনুমোদন নিয়ে টালবাহানর অভিযোগ তোলে তৃণমূল। ত্রিপুরা হাইোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল জোড়াফুল শিবির। রাজ্য সরকারকে আজ সকালের মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রার অনুমোদনের বিষয়টি স্পষ্ট করতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন আদালতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে রাজ্য সরকার। উল্টোদিকে, রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও পাল্টা নির্দেশ দেয়নি ত্রিপুরা হাইকোর্ট। করোনা বিধি-নিষেধ আরোপের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা হবে না বলে এদিন স্পষ্ট করেছে আদালত।
ত্রিপুরায় ধাক্কা তৃণমূলের। বহু চেষ্টাতেও বিজেপি শাসিত এই রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা আপাতত করতে পারল না বাংলার শাসকদল। উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৫ ও ১৬ তারিখ পুলিশের অনুমতি না মেলায় আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা হয়নি। আগামিকাল ২২ সেপ্টেম্বর সেই পদযাত্রার আবেদন করেছিল তৃণমূল।
পুলিশ পদযাত্রার অনুমোদনে টালবাহানা করায় শেষমেশ ত্রিপুরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। অভিষেকের মিছিলের অনুমতির বিষয়টি রাজ্যকে স্পষ্ট করে জানাতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। শেষমেশ করোনা পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে অভিষেকের পদযাত্রার অনুমোদন দিল না ত্রিপুরার বিজেপি সরকার।
বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পরেই তৃণমূলের নজরে পড়শি রাজ্য ত্রিপুরা। পালা করে নেতা-নেত্রীদের ত্রিপুরায় পাঠাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ত্রিপুরায় আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন পাকাপোক্ত করতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছে না জোড়াফুল শিবির। তবে সেই কাজ যে অত সহজ নয়, তারও ইঙ্গিত মিলেছে বারবার।
আরও পড়ুন- ‘অভিজ্ঞতা বেড়েছে বলেই দায়িত্ব বাড়াল দল’, পদ খুইয়ে বলছেন দিলীপ
দলের কাজে ত্রিপুরায় গিয়ে বেশ কয়েকবার হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলের নেতাদের। খোদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কনভয়েও হামলার অভিযোগ ওঠে। ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপির মদতেই ওই হামলা চলে বলে অভিযোগ জোড়াফুল নেতাদের। যদিও বিজেপির তরফে তৃণমূলের তোলা সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন