বিধানসভা ভোটের পাক্কা একবছর বাকি। তার আগেই ধাক্কা খেল ত্রিপুরা বিজেপি। সোমবার বিধায়ক পদ এবং দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ছাড়লেন প্রাক্তন মন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ। তাঁর সঙ্গেই একই ভাবে বিধায়ক পদ এবং দলীয় সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন আশিস কুমার সাহা। এদিন বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগ পত্র স্পিকার রতন চক্রবর্তীর হাতে তুলে দেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, অনেক দিন ধরেই সুদীপকে নিয়ে গুঞ্জন ছিল। প্রকাশ্যে সরকার এবং দলের নীতির সমালোচনা করেছিলেন একাধিকবার। আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। পরে মন্ত্রিসভার রদবদল হওয়ায় মন্ত্রিত্ব খোয়ান তিনি।
অনেকদিন ধরেই তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাঁতের অভিযোগ তুলছিল বিজেপি। তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন ছিল। এবার বিধায়ক এবং দলীয় সদস্যপদ দুই-ই ছাড়লেন তিনি।
আরও পড়ুন ‘জমি দিচ্ছে না রাজ্য, কলকাতায় নয়া এয়ারপোর্টের কাজ আটকে’, দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
এদিন বিধানসভার স্পিকারকে পদত্যাগপত্র দিয়ে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের সুদীপ বলেন, "আমরা স্বস্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলেছি যে আমরা পদত্যাগ করেছি, কারণ এই সরকার ভাল কিছু দিতে ব্যর্থ হয়েছে, প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই সরকারে শুধু একজন মানুষের কণ্ঠস্বর শোনা যায় বা তার নির্দেশ পালন করা হয়। কোনও বিধায়ক, কোনও মন্ত্রী তাঁদের কর্তৃত্ব বা ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন না। তাঁদের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। গোটা রাজ্যে আতঙ্কের রাজত্ব চলছে। গণতন্ত্রকে শ্বাসরোধ করা হয়েছে।"
তবে এবার কি জল্পনা সত্যি করে তৃণমূলে যাবেন সুদীপ? সেই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আগেও বহুবার দলবদল করেছেন সুদীপ। কংগ্রেসি ঘরানার নেতা বেশ কয়েক বছর আগে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন সুদীপ-সহ ৬ বিধায়ক। তার পর অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে যান সুদীপ-সহ সেই ৬ জন।
ত্রিপুরায় বাম জমানার পতনের পর বিপ্লব দেব মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হন তিনি। এবার ফের দলত্যাগ করলেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, তৃণমূলেই ফিরবেন তিনি। ঘোষণা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।