শবরীমালা মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতা করেই বিক্ষোভকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মোদি সেনাপতি। এবার এহেন বিতর্কে মুখ খুললেন বিজেপি-র আরেক নেত্রী উমা ভারতী। মোদি মন্ত্রিসভার ওই মন্ত্রী বলেছেন যে, এই রায়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টকে দোষ দেওয়া যায় না।
শবরীমালা নিয়ে দেশের শীর্ষ আদালতের যুগান্তকারী রায় প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে উমা ভারতী বলেছেন,‘‘স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় আদালত হস্তক্ষেপ করেনি। কেউ যখন আদালতের দ্বারস্থ হন, তখন আদালতে তাঁর মামলাটি কখনই অগ্রাহ্য করা হয় না...যদি কেউ আদালতে যান, তবে আদালত তাঁর রায় শোনাবে...এক্ষেত্রে তাই আদালতকে দোষ দেব না।’’
আরও পড়ুন, শবরীমালা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
শবরীমালা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রসঙ্গে সোচ্চার হয়েছেন অমিত শাহও। বিজেপি সভাপতি বলেছেন, যে রায় বাস্তবায়িত করা যাবে না, সেই রায় না দিতেই পারত। শনিবার কান্নুরে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে অমিত শাহ বলেন,‘‘আমি সরকার ও তাঁদেরকে বলতে চাই, যাঁরা আদালতে এই রায় শুনিয়েছেন। এমন রায়ই দেওয়া উচিত, যা বাস্তবায়িত করা যায়। এমন রায় শোনানো উচিত নয় যে, যা মানুষের বিশ্বাসকে নড়িয়ে দেয়।’’ উল্লেখ্য, যাঁরা এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, তাঁদের দিকেই আঙুল তুলেছেন অমিত শাহ ও উমা ভারতী।
শবরীমালা মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী বলেন,‘‘এটা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের ব্যাপার। মহিলারা নিজেরাই ভাল করে বোঝেন, যে কখন তাঁরা মন্দিরে যাবেন আর কখন তাঁরা মন্দিরে যাবেন না...যখন মহিলারা মন্দিরে যান, তখন কেউই তাঁদের দিকে প্রশ্ন তোলেন না। কারণ তাঁরা জানেন যে কখন তাঁরা মন্দিরে যাবেন। আর এই রীতি তাঁরা বহু যুগ ধরে মেনে আসছেন। মোদ্দা কথা মহিলারা নিজেরাই অবগত এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে।’’কেরালায় বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,‘‘লোকেরা , বিশেষত হিন্দুরা কেরালায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, কারণ তাঁদের ধর্মীয় ভাবাবেগকে আঘাত করা হয়েছে।’’
অন্যদিকে অযোধ্যায় রাম মন্দির ইস্যুতে উমা ভারতী বলেন,‘‘যখন সকলে একমত হবেন, তখনই সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে।’’ তিনি আরও বলেন যে, যখন সোমনাথ মন্দির ইস্যু হয়েছিল, তখন সকলে একজোট হয়েছিলেন। ফলে এক্ষেত্রেও সব দলকে এক হতে হবে। তিনি বলেন,‘‘যদি কংগ্রেস, বাম, সোশালিস্ট পার্টি একজোট হয় এ নিয়ে, তবে মন্দির গড়া যাবে।’’ রাম মন্দির নিয়ে যে তাঁদের কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই, সেই ধারণা দূর করতে এ ব্যাপারে সমাধানের জন্য তিনি রাহুল গান্ধী, সোনিয়া গান্ধী, মায়াবতী, অখিলেশ যাদব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাবেন বলেও মন্তব্য করেন উমা ভারতী।
Read the full story in English