ভারত চলতি বছরের মাঝামাঝি মন্দার মুখে পড়তে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এব মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী নারায়ণ রানে। রানের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক অবশ্য নতুন না। তবে, এবারের বিষয়টা যেহেতু আর্থিক মন্দা, স্বভাবতই তা ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। রানে জানিয়েছেন যে বর্তমানে মোদী সরকার আর্থিক বাজেটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর, ক'দিন পরে ফেব্রুয়ারিতে আর্থিক বাজেট। তার আগে বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা চলছে।
এই মন্দাকে হারানোই এখন ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সময় রানে ভারতের মন্দার আশঙ্কা ফাঁস করেছেন। তা-ও আবার জি২০ সম্পর্কিত অনুষ্ঠানের সূচনায় ভাষণ দেওয়ার পর। ঠিক সেই সময়ে, যখন মোদী সরকার ভারতের নিয়মমাফিক জি২০-র সভাপতিত্ব পাওয়ার জন্য কৃতিত্ব দাবি করে চলেছে।
ঠিক কী বলেছেন রানে? পুনেতে জি২০-র অনুষ্ঠানের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রানে বলেন, 'বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মন্দা চলছে। বিশ্বের বহু দেশে মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে আলোচনা থেকেই আমি একথা বলছি। জুনের পর ভারতেও মন্দা আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার এখন মন্দার প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।'
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও নড়ল না টনক, ফের রেফার রোগে রোগীমৃত্যু
রানের এই বেফাঁস মন্তব্য স্বভাবতই লুফে নিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইট করেছেন, 'যে এমএমএমই ২০১৪ সাল থেকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, নারায়ণ রানে সেই দফতরের মন্ত্রী। তিনি ছয় মাস পরে ভারতে মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছেন। পুনেতে জি২০ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী দেশবাসীর থেকে ঠিক কী লুকোতে চাইছেন?'
রানের মন্তব্যে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক প্রবীণ নেতা বলেছেন, 'রানের মন্তব্যগুলো দলের জন্য বিব্রতকর। কারণ, বর্তমানে দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক চলছিল। সেই সভায় মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে ভারত। সেই খুশি দল উদযাপন করবে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার উদ্বেগ রানে প্রকাশ করে কার্যত বিরোধীদের হাতেই ইস্যু তুলে দিয়েছেন।'
Read full story in English
'জুনের পরই দেশে মন্দা আসছে', কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বেফাঁস মন্তব্যে অস্বস্তিতে বিজেপি
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে। সেটা ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করবে। কিন্তু, তার বদলে এখন মন্ত্রীর বেফাঁস মন্তব্যের জবাব দিতে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে।
Follow Us
ভারত চলতি বছরের মাঝামাঝি মন্দার মুখে পড়তে পারে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র এব মাঝারি শিল্প দফতরের মন্ত্রী নারায়ণ রানে। রানের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক অবশ্য নতুন না। তবে, এবারের বিষয়টা যেহেতু আর্থিক মন্দা, স্বভাবতই তা ব্যাপক আলোড়ন তৈরি করেছে। রানে জানিয়েছেন যে বর্তমানে মোদী সরকার আর্থিক বাজেটের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আর, ক'দিন পরে ফেব্রুয়ারিতে আর্থিক বাজেট। তার আগে বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দা চলছে।
এই মন্দাকে হারানোই এখন ভারতের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সময় রানে ভারতের মন্দার আশঙ্কা ফাঁস করেছেন। তা-ও আবার জি২০ সম্পর্কিত অনুষ্ঠানের সূচনায় ভাষণ দেওয়ার পর। ঠিক সেই সময়ে, যখন মোদী সরকার ভারতের নিয়মমাফিক জি২০-র সভাপতিত্ব পাওয়ার জন্য কৃতিত্ব দাবি করে চলেছে।
ঠিক কী বলেছেন রানে? পুনেতে জি২০-র অনুষ্ঠানের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রানে বলেন, 'বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মন্দা চলছে। বিশ্বের বহু দেশে মন্দার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বৈঠকে আলোচনা থেকেই আমি একথা বলছি। জুনের পর ভারতেও মন্দা আঘাত হানবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকার এখন মন্দার প্রভাব কমানোর লক্ষ্যে কাজ করছে।'
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেও নড়ল না টনক, ফের রেফার রোগে রোগীমৃত্যু
রানের এই বেফাঁস মন্তব্য স্বভাবতই লুফে নিয়েছে বিরোধী দল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়রাম রমেশ টুইট করেছেন, 'যে এমএমএমই ২০১৪ সাল থেকে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, নারায়ণ রানে সেই দফতরের মন্ত্রী। তিনি ছয় মাস পরে ভারতে মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছেন। পুনেতে জি২০ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী দেশবাসীর থেকে ঠিক কী লুকোতে চাইছেন?'
রানের মন্তব্যে স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক প্রবীণ নেতা বলেছেন, 'রানের মন্তব্যগুলো দলের জন্য বিব্রতকর। কারণ, বর্তমানে দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক চলছিল। সেই সভায় মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হয়েছে ভারত। সেই খুশি দল উদযাপন করবে। এই পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার উদ্বেগ রানে প্রকাশ করে কার্যত বিরোধীদের হাতেই ইস্যু তুলে দিয়েছেন।'
Read full story in English