এবিভিপি ও বিজেপি নয়, জেএনইউতে হামলা চালিয়েছে বামেরাই, দিল্লি পুলিশের সাংবাদিক বৈঠকের পরই সরব হলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘এবিভিপি-র ভাবমূর্তি নষ্টের জন্য প্রচার চালানো হচ্ছিল। কিন্তু আজ ছবিটা পরিষ্কার করে দিল দিল্লি পুলিশ। বামেরাই পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে’’। উল্লেখ্য, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত ঐশী ঘোষই। ঐশী-সহ ৯ জন সন্দেহভাজনের নামের তালিকা এদিন প্রকাশ করে দিল্লি পুলিশ।
ঠিক কী বলেছেন জাভড়েকর?
এ প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা এএনআই-কে প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, ‘‘আজ দিল্লি পুলিশের সাংবাদিক বৈঠকে স্পষ্ট হয়ে গেল, গত ৫ দিন ধরে বিজেপি ও এবিভিপি-র উপর যে দোষ চাপানো হচ্ছিল, তা সত্য নয়। বামেরাই পূর্বপরিকল্পিত করে হামলা চালিয়েছে, সিসিটিভি অকেজো করেছে, সার্ভার নষ্ট করেছে’’। এ প্রসঙ্গে জাভড়েকর আরও বলেন, ‘‘জেএনইউ পড়ুয়াদের বিক্ষোভ বন্ধ করা উচিত এবং পঠনপাঠন শুরু করা উচিত। তদন্তে সহযোগিতা করা দরকার। লোকসভা নির্বাচনে সিপিআই, সিপিএম, আপকে মানুষ বর্জন করেছে। তাই তারা এখন নিজেদের স্বার্থে পড়ুয়াদের ব্যবহার করছে’’।
আরও পড়ুন: ঐশীই অভিযুক্ত জেএনইউ হামলায়, বিস্ফোরক দাবি দিল্লি পুলিশের
অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘জেএনইউতে বাম নকশার মুখোশ খুলে গেল...ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক লড়াইয়ের জায়গা হিসেবে ব্যবহার করেছে’’।
আরও পড়ুন: প্রত্যয়ী ঐশী: ভয় পাইনি, আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ রয়েছে
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ডিসিপি ক্রাইম ব্রাঞ্চ জয় তিরকে বলেন, গত ৫ জানুয়ারি ক্যাম্পাসে ঐশী-সহ কয়েকজন হামলা চালিয়েছিলেন। ঐশী ছাড়াও চুনচুন কুমার, পঙ্কজ মিশ্র, ওয়াসকর বিজয়, সুচেতা তালুকরাজ, প্রিয়া রঞ্জন, দোলন সাওয়ান্ত, যোগেন্দ্র ভরদ্বাজ ও বিকাশ পটেলের নাম প্রকাশ করেছে দিল্লি পুলিশ। যদিও গত রবিবার মুখোশ পরে যারা হামলা চালিয়েছিল, সে ব্যাপারে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে দিল্লি পুলিশ।
Read the full story in English